একুশে সংবাদ: এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় দফায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানের চতুর্থ দিন মঙ্গলবার ১৩ হাজার ৫৮০টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৯২টিতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া ৮ হাজার ৪৭টি স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে। এদিন ২২টি মামলায় মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৩১০ টাকা জরিমানা করা হয়। গত ৪ জুলাই প্রথম দফায় অভিযান চলে ১০ দিন। এই ১০ দিনসহ আজ পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজার ১৮৬টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৩৬৭টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৩২ হাজার ৫১৪টিতে এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় দফার চারদিনে ৭০টি মামলায় মোট ৮ লাখ ২ হাজার ১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আজ যেখানে অভিযান ও জরিমানা মঙ্গলবার উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১১৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৩টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে ৩টি মামলায় মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ৮৩৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৭৯৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪০৮টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪টি মামলায় মোট ৬৫ হাজার ৮১০ টাকা জরিমানা করা হয়। মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৫৬৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫২৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৭৬০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ২৮৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ৩টি মামলায় মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ১ হাজার ৭৮১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৪২৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১ হাজার ১৩৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৯২১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ৬৮৬টি বাড়িও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৯১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৫৬৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৪৮৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ৩১৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৬৬৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া ৫৫৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। একুশে সংবাদ/তাশা/গো/০৭/০৭/২০২০