AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় প্রার্থী প্রজন্মের পরিচিত মূখ শেখ হিরা


Ekushey Sangbad

০৪:০৯ পিএম, মে ১৫, ২০২০
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় প্রার্থী প্রজন্মের পরিচিত মূখ শেখ হিরা

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় প্রার্থী হবার বিষয়ে ভাবছেন শেখ পরিবারের এই প্রজন্মের পরিচিত মূখ শেখ হিরা। সুযোগ পেলে তিনি পৌরবাসীর সেবা করতে চান এমনটি তিনি দৈনিক নবধারাকে জানিয়েছেন। অতি সম্প্রতি তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে কিছু কথা লিখেছেন, যা হুবহু তুলে ধরা হলোঃ টুংগীপাড়া পৌরবাসীদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু কথা: আমি শেখ হিরা, মরহুম শেখ আকরাম হোসেনের বড় ছেলে, আপনাদের মাটির সন্তান। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সমাধির মাটি ছুঁয়ে বড় হয়েছি। প্রতি সকালেই ঘুম ভেঙে দেখেছি জাতির জনকের সমাধি। তাই শুধু আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে নয়, দলের প্রতি ভালোবাসাটা এখান থেকেও রক্তের সাথে মিশে গিয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আমার পিতা শেখ আকরাম হোসেনই ছিলেন তাঁর কাছের অভিভাবক। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে আপার সাথে আমরাই ছিলাম স্বজন হারিয়ে পাওয়া স্বজন হিসেবে। সেই দুঃসময়ে যখন আপনজন এবং দলের লোকেরা সরে গিয়েছিলো, তখন আমার বাবা সমস্ত ভয় এবং লোভের উর্ধ্বে উঠে তাঁর প্রিয় ভাগ্নির জন্য ছায়ার মতো থাকতেন। নেতারা তাঁকে মামা হিসেবেই চিনতেন। আমার বাবার বড় ছেলে হিসেবে তাঁর আদর্শকে সমুন্নত রাখতে আমি মানুষের পাশে থেকে মানুষের কল্যাণেই জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমার সুযোগ ছিলো অনেকের মতোই ঢাকায় গিয়ে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। কিন্তু এই টুংগীপাড়ার মাটির প্রতি আজন্ম মমতা আমি ভুলতে পারি না। এখানে থাকলেই আমি প্রাণ পাই।দামী গাড়িতে চড়ার চেয়ে এখানের ভ্যানে চড়েই আমি বেশি আনন্দ পাই। এখানের প্রতিটি মানুষকেই মনে হয় আপন মানুষ। আপনারা দেখেছেন, সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও আমি যতটুকু সুযোগ পেয়েছি টুংগীপাড়ার মানুষের জন্য কাজ করেছি। বিশেষ ক্ষমতায় না থেকেও আমি এখানকার মানুষের প্রতি ভালোবাসার জন্য তাদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করেছি। অন্যরা যখন শুধু নিজের আখের গুছিয়েছে, আমি তখন লোভ এবং লাভকে সরিয়ে বেকার যুবকদের চাকুরির ব্যবস্থা করেছি। বাহিরের সংস্থার থেকে সাহায্য এনে এখানের মানুষের মুখের হাসি দেখতে চেয়েছি। আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও শুধু কল্যাণকামী ইচ্ছার জন্য কিছু সংখ্যক পরিবার আজ ভালো আছে। ১/১১ এর সময়ে যখন দলের খুব খারাপ সময়, তখন অনেকেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে তাদের আসল নষ্ট রূপ দেখিয়েছে। অথচ আমি, আমার বাবা, আমার বড় বোন যেভাবে ভালোবাসা দেখিয়েছি, তা আপনারা জানেন। টুংগীপাড়ায় আন্দোলন করেছি। আপা জেলে থাকার সময়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছি। পরীক্ষিত মানুষের পরিবর্তে সুযোগ-সন্ধানী কেউ দায়িত্ব পেলে মানুষের কোনো কল্যাণ হয় না, সেটা আপনারা সকলেই দেখেছেন। আর তরুণ নেতারাই আজকাল তাদের কর্মশক্তি,সততা আর আধুনিক নতুন চিন্তার বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাকে আপনাদের স্বজন ভাবুন। সুখে দুঃখে আমি আপনাদের সাথে নিয়েই থাকতে চাই। বিপদে বন্ধুর মতোই এগিয়ে আসতে চাই। সকল হিংসা বিদ্বেষের উর্ধ্বে উঠে সাধারণের একজন হয়ে আমি আপনাদের হ্রিদয়ের একজন হতে চাই। পিতার থেকে পাওয়া মানুষের প্রতি ভালোবাসার প্রয়োগ করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন সৎ সৈনিক হয়ে এবং তাঁর নির্দেশের প্রতি শতভাগ অনুগত থেকে আমি আমার মাটির মানুষের পাশে থাকতে চাই। আপনাদের ভালোবাসা পেলে আপাও(জননেত্রী) নিশ্চয় আমাকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একজন ভাববেন। টুংগীপাড়াবাসীর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে এই কথা বলেই শেষ করছি যে-- পাশে থাকুন আর পাশে রাখুন। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
Link copied!