গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের মৃত সরাফত আলী এক মাত্র সন্তান ফারুক আহম্মেদ প্রিয়ক (৩২) ও তার এক মাত্র কন্যা তামাররা প্রিয়ন্ময়ী (৩) নেপালে বিমান দূর্ঘটনায় হয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি…………….রাজিউন) ।
পরে ২০ মার্চ জৈনাবাজার আব্দুল আউয়াল কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মরহুমের লাশ তার বাড়ির সামনে দাফন করা হয়।
বুধবার (১১ মার্চ) ২০২০ইং নগরহাওলা গ্রামের ফারুক আহম্মেদ প্রিয়কেরে নিজ বাড়িতে মরহুমরে কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়। অত্মীয়,স্বজন সহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যু কালে তিনি মা,ও অত্মীয় স্বজন রেখে গছেন।
প্রয়াত ফারুক আহমেদ প্রিয়ক এর মা ফিরুজা বেগম জানান, এঘটনার কিছু দিন পরেরই ফারুক আহমেদ প্রিয়কএর স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায়। এখন সে একাই বাড়িতে থাকেন। এবং প্রিয়কের কিছু সম্পত্তি মাদরাসা ও মসজিদের নামে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফারুক আহমেদ প্রিয়ক এর স্ত্রীর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারনে কুলখানিতে উপস্থিত হয়নি। তবে প্রিয়কের শশুর উপস্থিত ছিলো।
উল্লেখ্য, নেপালের ত্রিভুবন বিমান বন্দরে সোমবার (১২ মার্চ) ২০১৮ সালে দুপুরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামের ফারুক ও মেহেদী হাসান মাসুম দম্পতির পাঁচ সদস্য ছিলেন ওই বিমানে। বিমান থাকা দুই পরিবারের পাঁচ সদস্যরা হলেন, শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের মৃত সরাফত আলীর ছেলে ফারুক আহমেদ প্রিয়ক (৩২), তাঁর স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি (২৫), তাদের এক মাত্র কন্যা সন্তান তামাররা প্রিয়ন্ময়ী (৩) ও নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান মাসুম (৩০) ও তাঁর স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা আক্তার (২৫)। এদের মধ্যে মৃত সরাফত আলীর ছেলে ফারুক আহমেদ প্রিয়ক (৩২), এক মাত্র কন্যা সন্তান তামাররা প্রিয়ন্ময়ী (৩) বিমান বিধ্বস্তে মারা যান। ফারুক পেশায় একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন।
নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান মাসুম , তাঁর স্ত্রী সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও ফারুক আহমেদ প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি আহতবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসানিয়ে বাড়ি ফিরেন।
এস.সানি / ১১.০৩.২০২০
আপনার মতামত লিখুন :