AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন


Ekushey Sangbad

১১:৩৩ এএম, মার্চ ৯, ২০২০
করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।

করোনাভাইরাসে দিন দিন প্রাণহানী ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এখন পর্যন্ত এর কোন প্রতিষেধক বের হয়নি।

তবে দুর্ভাগ্যবশত করোনাভাইরাস ঠেকাতে নানা ধরণের স্বাস্থ্য পরামর্শ দেখা যাচ্ছে - যেগুলো প্রায়ই হয় অপ্রয়োজনীয় নয়তো বিপজ্জনক।খবর বিবিসির

কিন্তু অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এসব পরামর্শ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কী বলছেন?

রসুন:

ফেসবুকে এমন অসংখ্য পোস্ট দেখা গেছে যেখানে লেখা- যদি রসুন খাওয়া যায় তাহলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে "যদিও রসুন একটা স্বাস্থ্যকর খাবার এবং এটাতে এন্টিমাইক্রোবিয়াল আছে" কিন্তু এমন কোন তথ্য প্রমাণ নেই যে রসুন নতুন করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রেই এধরনের প্রতিকারক ব্যবস্থা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু এর মাধ্যমেও ক্ষতি হতে পারে।

অলৌকিক সমাধান:

জরডান সাথের হলেন একজন ইউটিউবার, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তার রয়েছে হাজার হাজার অনুসারী।

তিনি দাবি করছেন যে "একটা অলৌকিক খনিজ পদার্থ" যাকে এমএমএস নামে ডাকা হয় সেটা দিয়ে এই করোনাভাইরাস একেবারে দূর করা সম্ভব।

এটাতে রয়েছে ক্লোরিন ডাই-অক্সাইড যেটা একটা ব্লিচিং এজেন্ট।

জরডান এবং অন্যরা এই পদার্থকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগেই প্রচার করে আসছে।

কিন্তু জানুয়ারি মাসে তিনি টুইট করে বলেন "ক্লোরিন ডাই-অক্সাইড ক্যান্সারের কোষকেও ধ্বংস করতে পারে এবং এটা করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারে।"

গত বছরে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রিশন সতর্ক করে বলে যে এমএমএস পান করা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর।

অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষও এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

কলোইডিয়াল সিলভার দিয়ে করোনাভাইরাসের জীবাণু ধ্বংস অসম্ভব, যেমনটা বলছে এই গবেষণা।

এফডিএ বলছে, তারা এমন কোন গবেষণা সম্পর্কে জানে না যে এই পদার্থ নিরাপদ অথবা কোন অসুস্থতার জন্য পথ্য হতে পারে।

এফডিএ সতর্ক করে বলেছে এটা পান করার ফলে, মাথাব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, এবং পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

ঘরে তৈরি জীবাণুনাশক:

করোনাভাইরাস ঠেকানোর একটা কার্যকর উপায় হচ্ছে বার বার করে হাত ধোয়া।

হাত ধোয়ার জেল, যেটা দিয়ে তাৎক্ষণিক জীবাণু ধ্বংস করা যায়, সেটা ফুরিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ইতালি এখন করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি। সে দেশে যখন এই জেল ফুরিয়ে যাওয়ার খবর বের হল তখন এই জেল কীভাবে ঘরে বানানো যায় সেটার রেসিপি দেওয়া শুরু হল সোশাল মিডিয়াতে।

কিন্তু সেসব রেসিপি ছিল মূলত সেই সব জীবাণুনাশকের - যা ঘরের মেঝে বা টেবিলের উপরিভাগে ব্যবহার করতে হয়।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানিয়ে দেন এটা ত্বকের জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়।

অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড জেলগুলোতে ৬০%-৭০% অ্যালকোহল থাকে তার সঙ্গে থাকে এমোলিয়েন্ট নামে এক ধরণের পদার্থ যেটা ত্বককে নরম রাখে।

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক স্যালি ব্লুমফিল্ড বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না ঘরে বসে হাতের জন্য উপযুক্ত জীবাণুনাশক তৈরি করা সম্ভব।

রূপার পানি:

কলোইডিয়াল সিলভার মূলত এমন পানি যেখানে রুপার ক্ষুদ্র কণিকা মেশানো থাকে।

মার্কিন টেলি-ইভানজেলিস্ট ধর্মপ্রচারক জিম বেকার এই পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

তার অনুষ্ঠানে এক অতিথি দাবি করেন যে এই পানি কয়েক ধরণের করোনাভাইরাস মেরে ফেলতে সক্ষম।

অবশ্য তিনি স্বীকার করেন যে কোভিড-১৯ এর ওপর এটা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।

কলোইডিয়াল সিলভারের সমর্থকরা দাবি করেন, এটা অ্যান্টিসেপটিক এবং নানা ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা চলে।

কিন্তু মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার ভাষায় বলেছে, এই ধরনের রূপা ব্যবহার করে স্বাস্থ্যের কোন উপকার হয় না। বরং এর ব্যবহারে কিডনির ক্ষতি হতে পারে ও মানুষ জ্ঞান হারাতে পারে।

তারা বলেন, লোহা এবং জিংক যেমন মানব দেহের জন্য উপকারী, রূপা তেমনটা নয়।

তাপমাত্রা ও আইসক্রিম পরিহার:

গরমে এই ভাইরাস মরে যায় বলে সোশাল মিডিয়াতে অনেক ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

গরম পানি পান করা, গরম পানিতে গোসল করা, এমনকি হেয়ারড্রায়ার ব্যবহারেরও সুপারিশ করা হচ্ছে।

ইউনিসেফের উদ্ধৃতি দিয়ে এমনি একটি পোস্ট নানা দেশে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, গরম পানিপান করলে এবং রৌদ্রের নিচে দাঁড়ালে করোনাভাইরাসের জীবাণু মরে যাবে।

পাশাপাশি আইসক্রিম খেতেও বারণ করা হয়েছে।

কিন্তু ইউনিসেফ বলছে, এটা স্রেফ ভুয়া খবর। ফ্লু ভাইরাস মানব দেহের বাইরে বেঁচে থাকতে পারে না।

আর দেহের বাইরে এই জীবাণুকে মেরে ফেলতে হলে ন্যূনতম ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লাগবে, যেটা গোসলের পানি থেকে অনেক বেশি গরম।

এস.স/ম ০৯.০৩.২০২০

Link copied!