AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সংঘর্ষে দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭


Ekushey Sangbad

১২:০৪ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
সংঘর্ষে দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধিতায় বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার থেকে চলা এই বিক্ষোভে দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির উপদেষ্টা অজিত দোভাল সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন এবং সংঘর্ষ ঠেকাতে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের

এছাড়া মঙ্গলবার রাতে দিল্লির জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবাগ, কারওয়াল নগরে ১৪৪ ধারা জারি করে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েনের দাবি উঠেছিল। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, যথেষ্ট সিআরপি নামানো হয়েছে। এখনই সেনা ডাকার দরকার নেই।

সোমবারের পর মঙ্গলবারও দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মৌজপুরে এদিন এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত চার সাংবাদিক। অনেক সাংবাদিকের কাছে ধর্মীয় পরিচয় জানতে চেয়ে তাদের হেনস্থা করেছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা।

পরিস্থিতি সামলাতে গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে আগামী এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। দিল্লি-সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদেও ১৪৪ ধারা জারি হয়। নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয় গাজিয়াবাদ-দিল্লির সীমানায় যাতায়াতের উপর। টানা বন্ধ দু’দিন উত্তর-পূর্ব দিল্লির পাঁচটি মেট্রো স্টেশন। সংঘর্ষের ছবি না-দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয় বেসরকারি চ্যানেলগুলোকে।

কিন্তু অশান্তি থেমে থাকেনি। সংঘর্ষ পাথর-যুদ্ধ, গুলি, ভিড় জমিয়ে মারধর, অসংখ্য বাড়ি-দোকানে আগুন লাগানো, লুঠতরাজ কিছুই বাকি থাকেনি। উত্তর-পূর্ব দিল্লির আকাশে সারা দিনই কালো ধোঁয়া পাকিয়ে পাকিয়ে উঠেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল কর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছেন।

দিল্লির প্রবীণরা বলছেন, ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গার পরে শহরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বছর পাঁচেক আগেও পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপুরীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছিল। কিন্তু কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।

সিএএ-বিরোধীদের সম্পর্কে রোববার উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। প্রশ্ন উঠেছে, তিন দিন কাটতে চললেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন? পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরই কপিলের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।

Link copied!