আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি। ২০১৪ সালের এই দিনে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের ঝাউতলা নামক স্থানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯ শিশু। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক মিলে আহত হয় অর্ধশতাধিক । এই দুর্ঘটনার খবর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশের পর ঘটনার পর দিন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দেশের সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যালো ব্যাচ ধারণ করে শোক প্রকাশ ও নিজ জেলার ভেতরেই শিক্ষা সফরে যাওয়ার নির্দেশনা জারি করেন।
শার্শা উপজেলার বেনাপোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে মেহেরপুরের মুজিবনগরে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে চৌগাছার ঝাউতলা কাঁদবিলা নামক স্থানে বাসটি রাস্তার পাশে একটি পুকুরে ছিটকে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত হয় ৭ জন শিশু শিক্ষার্থী, আহত হয় আরো ৭০ জন শিশু শিক্ষার্থীসহ ৪ জন শিক্ষক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জন শিক্ষার্থী মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলো, বেনাপোল পৌরসভার ছোটআঁচড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর দুই মেয়ে পঞ্চম শে্িরণর ছাত্রী সুরাইয়া (১০) ও তার বোন তৃতীয় শে্িরণর ছাত্রী জেবা আক্তার (৮), একই গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মিথিলা আক্তার (১০), রফিকুল ইসলামের মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রুনা আক্তার মীম (৯), লোকমান হোসেনের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শান্ত (৯), গাজিপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন (১০) ও নামাজ গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আঁখি (১১)। ছোট আঁচড়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে পঞ্চম শে্িরণর ছাত্র ইকরামুল (১১), একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ানুর রহমান (১১)।
এই দিনটি ঘিরে আজ চৌগাছা ও শার্শা উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন, শোকর্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে ৷
এস.ইয়ানূর // ১৭.০২.২০২০
আপনার মতামত লিখুন :