আখেরি মোনাজাতে যোগ দিতে টঙ্গীতে লাখ লাখ মুসল্লি
একুশে সংবাদ : আজ রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাতে যোগ দিতে টঙ্গীর তুরাগতীরে এসেছেন লাখ লাখ মুসল্লি।
আজ রবিবার সকাল ১১টার অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত।
মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইল জামে মসজিদের খতিব ও তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার ৫৫তম আয়োজনের প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে দেশ-বিদেশের ৩৫ থেকে ৪০ লাখ মানুষ অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কনকনে শীত ও হিমেল বাতাসে শনিবার ইজতেমায় যোগ দেন মুসল্লিরা।
অসুস্থতাজনিত কারণে এ পর্যন্ত ১২ মুসল্লি মারা গেছেন। ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
ইজতেমা ময়দানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এর পরও শনিবার বহু মুসল্লিকে ময়দানের উদ্দেশে আসতে দেখা গেছে।
তবে ভেতরে ঠাঁই না পেয়ে তাদের অবস্থান নিতে হয়েছে বিভিন্ন সড়ক ও আশপাশের এলাকার মাঠে। কয়েক লাখ মুসল্লির সমাগমে শিল্পনগরী টঙ্গী পরিণত হয়েছে ধর্মীয় নগরীতে।
বাদ ফজর ভারতের মাওলানা আবদুর রহমানের বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল মতিন।
বাদ জোহর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা। তা বাংলায় ভাষান্তর করেন মাওলানা মো. নূর-উর-রহমান। বাদ আসর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা জোহায়েরুল হাসান। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা। আজ বাদ ফজর বয়ান করেন মাওলানা জিয়াউল হক। আখেরি মোনাজাতের আগে বিশেষ সমাপনী বয়ান করবেন মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা।
মাওলানা আবদুর রহমান ইমান ও আমল, জাহান্নাম-জান্নাত এবং দাওয়াতের মেহনতের ওপর বয়ান করেন।
তিনি বলেন, ঘর তৈরি করতে গেলে যে পরিমাণ মেহনত প্রয়োজন, আমরা সে পরিমাণ মেহনত করলে একটি ঘর তৈরি হয়। ঠিক একইভাবে দাওয়াতের কাজে যে পরিমাণ মেহনত করা প্রয়োজন, সে পরিমাণ মেহনত করলে আল্লাহ-জাল্লাহ-শানহু আমাদের দাওয়াতকে কবুল করবেন।
আর দাওয়াত কবুল হলে আমাদের দোয়া কবুল হবে। দোয়া কবুল হলে আমাদের জীবন পরিবর্তন হয়ে যাবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া যান চলাচলেও কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শনিবার মধ্যরাত থেকে গাজীপুরের টঙ্গী মহাসড়ক ও ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। মধ্যরাত থেকে মোনাজাত শেষে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত, টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের মিরের বাজার থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত, কামারপাড়া থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত এবং বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এস.ক.ক //১২.০১.২০২০
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :