রাঙ্গামাটির মুপ্পোছড়া ঝর্ণা
একুশে সংবাদ: রাঙ্গামাটি জেলার অন্যতম একটি ঝর্ণার নাম হলাে মুপ্পোছড়া ঝর্ণা। অপরূপ এই মুপ্পোছড়া ঝর্ণাটি রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বাঙ্গালকাটায় অবস্থিত। প্রস্থের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি ঝর্ণা। কাপ্তাই লেক পাড়ের এই উপজেলার সাথে সড়ক পথে কোন সংযোগ নেই।কাপ্তাই উপজেলা হতে এই উপজেলায় শুধুমাত্র নৌ-পথে যাতায়াত করা যায়।
দূর্গম পার্বত্য এলাকা হওয়ায় এখানে অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়ে আছে প্রচুর ঝর্ণা। মুপ্পোছড়া ঝর্ণা বিলাইছড়িতে অবস্থিত বৃহত্তম ঝর্ণাগুলোর একটি। বিলাইছড়ি হতে শুধুমাত্র নৌপথে বাঙ্গালকাটাতে যাওয়া গেলেও বাঙ্গালকাটা হতে ট্রেকিং করে মুপ্পোছড়া ঝর্ণায় যেতে হয়।
যাওয়ার উপায়:
মুপ্পোছড়া ঝর্ণায় যেতে হলে আগে যেতে হবে কাপ্তাই। ঢাকা থেকে বাসে সরাসরি কাপ্তাই পর্যন্ত আসা যায়। হানিফ, সৌদিয়া, শ্যামলী, এস আলম পরিবহণে করে সরাসরি কাপ্তাই ঝেটিঘাট। ভাড়া পড়বে ৫৫০ টাকা করে।
কাপ্তাইয়ের লঞ্চঘাট থেকে বিলাইছড়ি যাওয়ার ট্রলার পাওয়া যায়। ট্রলার রিজার্ভ নিলে ১০০০ থেকে ১৫০০ ভাড়া লাগবে। আর লোকালে গেলে জনপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা লাগবে। কাপ্তাই হতে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে প্রথম ট্রলার এবং পরবর্তীতে দুপুর ১ টা এবং ১ টা ৩০ মিনিটে পর পর দুইটি লোকাল ট্রলার বিলাইছড়ি উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কাপ্তাই থেকে ট্রলারে বিলাইছড়ি যেতে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত সময় লাগে।
পথে বিলাইছড়ি বাজারে প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে আরো কিছু শুকনো খাবার সাথে নিয়ে নিন। বিলাইছড়ির হাসপাতাল ঘাট থেকে অন্য একটি ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে বাঙ্গালকাটা যেতে হবে। বিলাইছড়ি হতে বাঙ্গালকাটা পর্যন্ত ৬০০-৮০০ টাকা ভাড়া লাগবে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর বাঙ্গালকাটায় নেমে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় গাইড ঠিক করে বেড়িয়ে পড়ুন মুপ্পোছড়ার পথে। প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘন্টা ট্রেকিং শেষে পৌঁছে যাবেন মনোমুগ্ধ মুপ্পোছড়া ঝর্ণার পাদদেশে।
থাকার ব্যবস্থা:
বিলাইছড়ির হাসপাতাল ঘাটের কাছে নিরিবিলি বোর্ডিং নামে একটি আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে সিঙ্গেল এবং ডাবল বেডের ভাড়া যথাক্রমে ৩০০ ও ৫০০ টাকা। যদি বিলাইছড়িতে থাকার ইচ্ছা না থাকে তাহলে অবশ্যই কাপ্তাই থেকে সকাল ৬ টার আগে মুপ্পোছড়া ঝর্ণার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।
কোথায় খাবেন:
কাপ্তাইয়ে খাবারের জন্য অসংখ্য হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাবেন। সেখানে আপনার পছন্দের অনেক খাবারই পেয়ে যাবেন। আর এখানে
পার্বত্য অঞ্চল হওয়ায় বাংলাদেশের অন্য স্থানের সবার এখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্টের ফটোকপি/যেকোন পরিচয়পত্র সাথে রাখা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অবশ্যই পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
একুশে সংবাদ//ভ.গ.ন//০৮.০১.২০২০
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :