AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিনামূল্যে সেনিটারি ন্যাপকিন দেয়া হবে:স্বাস্থ্যমন্ত্রী


Ekushey Sangbad

০৬:২১ পিএম, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
বিনামূল্যে সেনিটারি ন্যাপকিন দেয়া হবে:স্বাস্থ্যমন্ত্রী

একুশে সংবাদ : দেশের সকল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসমূহে এখন থেকে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক । আজ রাজধানীর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে সপ্তাহব্যাপি ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন । তিনি বলেন, “দেশের গ্রামাঞ্চলের মা ও মেয়ে শিশুদের জন্য অধিক মূল্য হবার কারণে ন্যাপকিন ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।এতে করে তাদের শরীরে ক্যান্সারসহ নানাবিধ জটিল রোগ সৃষ্টি হয়। এ কারণে দেশের সর্বত্র এ বছর থেকেই সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থেকে আমাদের মা- বোনদের জন্য বিনামূল্যে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান করা হবে। নিরাপদ মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যু হার প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক আরো বলেন, “এসডিজি অর্জনে ৩.৭.২ সূচকে কৈশোরকালিন মাতৃত্ব কমানোর ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে। কারণ ১৪ বছর বা তার কম বয়সী কিশোরী মায়েদের মধ্যে গর্ভজনিত জটিলতার কারণে মৃত্যু ঝুকি ৫ গুণ বেশি। ২০ বছরের বেশি বয়সী মায়েদের তুলনায় ১৫-১৮ বছর বয়সী মায়েদের মৃত্যুহার দ্বিগুণের বেশি। এক্ষেত্রে অধিকাংশ মায়েদের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে অনিহা থাকে। একারণে সারাদেশের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা ডেলিভারি সিস্টেম চালু করে দেয়া হবে।” উল্লেখ্য, বাল্য বিয়ে, কৈশোরকালীন মাতৃত্ব, কিশোরী মায়ের গর্ভে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি, মৃত সন্তান প্রসব, অপরিণত জন্ম, কম জন্ম ওজনের শিশু, প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে কিশোরী মায়েরা ঝুঁকির মধ্যে থাকে। ১৫-১৯ বছরের বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপুরণীয় চাহিদার হার ১৭%। কাজেই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারে সকল সক্ষম দম্পতিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিবাহিত কিশোরীদের সঠিক ভাবে পদ্ধতির ব্যবহার ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবার বিষয়ে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন যাতে কৈশোরকালীন মাতৃত্ব রোধ করা যায়। উল্লেখ্য, কৈশোরকালীন মাতৃত্বের বর্তমান হার প্রতিলাখে ১১৩ যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ এ (প্রতি লাখে) নামিয়ে আনতে হবে বলে মন্ত্রী তাঁর ব্রিফিং-এ উল্লেখ করেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ. খ. ম. মহিউল ইসলামসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন। এস.পি.এই // ০৫.১২.২০১৯
Link copied!