AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সবুজ প্রকৃতির মাঝে সৃষ্টি 'রিসাং ঝর্ণা'


Ekushey Sangbad

০৪:১৭ পিএম, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
সবুজ প্রকৃতির মাঝে সৃষ্টি 'রিসাং ঝর্ণা'

একুশে সংবাদ: আমাদের দেশটা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর। এই অপরূপ সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয় আমাদের দেশের পাহাড়ি অঞ্চল গুলোর ঝর্ণাগুলো।তার ভিতরে রয়েছে রিসাং ঝর্ণা।রিসাং ঝর্ণার অবস্থান খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা গ্রামে।সে এক অপূর্ব সুন্দর জায়গা।রিসাং ঝর্ণা স্থানীয়দের কাছে ‘সাপ মারা রিসাং ঝর্ণা’ নামে পরিচিত। রিছাং হলাে একটি মারমা শব্দ। আর এর অর্থ হলো 'কোন উঁচু স্থান হতে জলরাশি গড়িয়ে পড়া।' রিছাং ঝর্ণার আরেকটি নাম হলো তেরাং তৈকালাই।আর খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়ক ধরে ১ কিলোমিটার এগিয়ে গিলেই রিসাং ঝর্ণা দেখতে পাওয়া যায়। এই রিসাং ঝর্ণা থেকে মাত্র ২০০ গজ ভেতরে রিছাং ঝর্ণা দুই বা ‘অপু ঝর্ণা’ নামে আরও একটি ঝর্ণা রয়েছে।ভ্রমণকারীদের সহজে ঝর্ণায় পৌঁছাতে এখানে পাকা সিঁড়িপথ তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতার পাহাড় থেকে পানি আছড়ে পড়ার মনোরম দৃশ্য ঘন্টার পর ঘন্টা উপভোগ করার মত। আর চাইলে রিসাং ঝর্ণার জলে অনায়াসেই শরীর জুড়িয়ে নিতে পারবেন। খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে রিচাং ঝর্ণার দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি থেকে জীপ, প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাসে ঝর্ণার পাদদেশে এসে পাহাড়ি রাস্তায় কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে এগিয়ে গেলে অপূর্ব এই ঝর্ণাটি দর্শন করতে পারবেন। কিভাবে যাবেন: রিসাং ঝর্ণায় যেতে হলে ঢাকা থেকে প্রথমে খাগড়াছড়ি যেতে হবে।ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে বেশ কয়েকটি বেশ ভালো মানের গাড়ি পাওয়া যাবে।ঢাকা হতে শান্তি, হানিফ, এস আলম, শ্যামলী, ইকোনো এবং ঈগল পরিবহনের এসি/নন-এসি বাসে চড়ে সরাসরি খাগড়াছড়ি যাওয়া যায়। বাস ভেদে জনপ্রতি ভাড়ার পরিমান নন এসি ৫২০ টাকা এবং এসি ৮৫০ থেকে ১২০০ টাকা। এরপর খাগড়াছড়ি থেকে সরাসরি চান্দের গাড়ি বা সিএনজি ভাড়া নিয়ে রিসাং ঝর্ণা দেখতে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে ঝর্ণা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নেমে বাকি পথ হেটে যেতে হবে। এছাড়া রিসাং ঝর্ণা দেখতে হলে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদর থেকে লোকালে বাস বা চান্দের গাড়িতে চড়ে ঢাকার পথে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত আলুটিলা গুহার সামনে চলে আসুন। আলুটিলা থেকে পরের গন্তব্য প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের হৃদয় মেম্বারের এলাকা। আলুটিলা থেকে হৃদয় মেম্বারের এলাকায় যেতে লোকাল বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৫ টাকা। হৃদয় মেম্বারের এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার পায়ে হেটে বা বাইকে চড়ে রিছাং ঝর্ণায় যেতে হয়। শুধুমাত্র যাওয়ার জন্য জনপ্রতি বাইকের ভাড়া ৫০ টাকা, আর ফিরে আসার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। আলুটিলা গুহা, বৌদ্ধ মন্দির, দেবতা পুকুর, ঝুলন্ত ব্রিজ এবং রিসাং ঝর্ণা কাছাকাছি দূরত্বে অবস্থিত। তাই সবচেয়ে ভালো আপনি যদি এই সবগুলো জায়গা একসাথে ঘুরে দেখেন। এই জায়গা গুলো ঘুরে দেখতে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগবে। গাড়ি ঠিক করার সময় কোথায় কোথায় ঘুরবেন তা বলে নিন। সবগুলো জায়গা ঘুরতে ১০-১৫ জনের চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করতে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা লাগবে এবং সিএনজি রিজার্ভ করতে লাগবে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। অবশ্যই ভাড়া দরদাম করে ঠিক করুন যদিও খাগড়াছড়ি জিপ পরিবহণ মালিক সমিতি কতৃক নির্ধারিত ভাড়া ৫০০০ টাকা। কোথায় থাকবেন: খাগড়াছড়ি শহরে রাত্রি যাপনের জন্য বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে।চাইলে আপনি রুম দেখে দরদাম করে আপনার পছন্দমত হোটেলে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। হোটেল ভেদে এক রাত অবস্থানের জন্য ৪০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা প্রহতে পারে। খাগড়াছড়ি শহরে ভালো মানের আবাসিক হোটেলের মধ্যে রয়েছে – ১.পর্যটন মোটেল: শহরের চেঙ্গী নদী পাড়ে অবস্থিত এই মোটেলের দুই বেডের এসি রুম ভাড়া ২১০০ টাকা এবং নন এসি রুম ভাড়া ১৩০০ টাকা। ২.হোটেল গাইরিং: খাগড়াছড়ি শহরে অবস্থিত এসি, নন এসি, ভিআইপি এসি ও গ্রুপ রুমের সুবিধা সহ শ্রেণী অনুযায়ী ভাড়া ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। ৩.অরণ্য বিলাস: শহরের নারিকেল বাগান অবস্থিত এই হোটেলে টুইন বেড এসি ২৫০০ টাকা, কাপল এসি ২০০০ টাকা, সিঙ্গেল বেড এসি ১৫০০ টাকা, টুইন নন এসি ২০০০ টাকা এবং কাপল নন এসি ১৫০০ টাকা ভাড়া। ৪.গিরি থেবার: খাগড়াছড়ি ক্যন্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থিত। ভিআইপি এসি রুম ভাড়া ৩০৫০ টাকা। এসি ডাবল রুম ভাড়া ২০৫০ টাকা। সিংগেল রুম যার ভাড়া ১২০০ টাকা। এছাড়ে রয়েছে হোটেল ইকো ছড়ি ইন। আর যদি কেউ একটু কম খরচে থাকতে চান তাহলে শাপলা চত্বরের আশেপাশে কিছু বোর্ডিং ধরণের হোটেল আছে সে গুলোতে ৩০০-৪০০ টাকায় থাকতে পারবেন। কোথায় খাবেন: খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর এবং বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া পানথাই পাড়ায় অবস্থিত ‘সিস্টেম রেস্তোরা’-তে কফি, হাসের কালাভূনা, বাশকুড়ুল এবং ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি খাবারের আলাদা স্বাদ নিতে পারেন। একুশে সংবাদ//ভ.গ.ন//০৫.১২.২০১
Link copied!