হরিণমারা হাঁটুভাঙ্গা ট্রেইল
একুশে সংবাদ: মিরসরাই অঞ্চলে সবচেয়ে সহজ এবং সুন্দর ট্রেইল হলো হরিণমারা ট্রেইল।ঝর্ণার কুমে পানি খেতে আসা হরিণ শিকার করা হতো বলে এর নাম হরিণমারা ট্রেইল।হরিণমারা হাঁটুভাঙ্গা ট্রেইলে পাবেন হরিণমারা, হাঁটুভাঙ্গা এবং সর্পপ্রপাত ঝর্ণা।
এছাড়াও সর্পপ্রপাতের পাশে বাওয়াছড়ার মুখ।এই রুটে ঢুকতেই পাবেন অপূর্ব নীলাম্বর লেক।যারা মানুষের কলহ থেকে বাচতে প্রকৃতি ঝর্ণার আসল স্বাদ নিতে চান নীরবে নিভৃতে তাদের জন্য এই ট্রেইল।
ছোট কমলদর বাইপাসের শুরুতে নেমে পূর্ব দিকে হাটা শুরু করলে একসময় রেল লাইন পাবেন। লাইন পার হবার পর ১০-১৫ মিনিট হাটলে পাবেন অপূর্ব নীলাম্বর লেক। যারা বোটে করে যেতে চান তারা বোটে যেতে পারবেন আর যারা পাহাড় দিয়ে যেতে চান তারা পাহাড় দিয়ে যেতে পারেন।
পাহাড় দিয়ে যেতে হাতের বামে পাশ দিয়ে হাটুন। পাহাড় পেরিয়ে ঝিরি যেখানে মিশেছে সেখান থেকে শুরু ঝিরিপথ। কিছুটা পথ চলার পর ঝিরিপথ দুই দিকে দুই ভাগ হয়ে যায়। হাতের বাম দিকে গেলে এগুলে পাবেন হরিণমারা ঝর্ণা আর ডান দিকে ঝিরিপথে কিছুক্ষণ হাটার পর আবার দুইভাগে ভাগ হয়ে যায় ঝিরি এবার বামদিকে এগুলে পাবেন হাটুভাংগা ঝর্ণা আর ডানদিকে এগুলে পাবেন সপপ্রপাত ঝর্ণা।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা বা চট্রগ্রামগামী যে কোন বাস এ করে ছোট কমলদহ বাজার। বাজারের পরের রাস্তা আর বাইপাস যেখানে মিলেছে সেখানে নামবেন।
ট্রেনে গেলে মেইল ট্রেনে করে সীতাকুণ্ড বাজার। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে বাসে ছোট কমলদহ বাজার। বাজারের পরের রাস্তা আর বাইপাস যেখানে মিলেছে সেখানে নামবেন। রাস্তার পূর্ব দিকে ঢুকবেন। বাকিটা রাস্তা ধরা গেলে আর ছড়ার পথ ধরে এগিয়ে যাবেন।
কেউ ফেনী থেকে বা ফেনী হয়ে যেতে চাইলে সেভাবেও যেতে পারেন। এক্ষত্রে ঢাকার টিটি পাড়া থেকে স্টার লাইন, কে কে ট্রাভেলস এর বাসে ফেনি (মহিপাল), ভাড়া:২৭০/২৫০ টাকা।
চাইলে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে লোকাল বাসে ফেনির মহিপাল। এক্ষেত্রে ভাড়া:-১০০/১৫০/২০০ টাকা। আর কেউ যদি ট্রেনে যেতে চান, তাহলে আন্তনগর ট্রেনে ফেনি, ভাড়া পড়বে ১৯৫ টাকা আর মেইল ট্রেনে ফেনি ৮৫ টাকা। মহিপাল থেকে ছোট কমলদহ ভাড়া ৫০/৪০ টাকা, গাড়ী পাবেন সারা রাত। এরপর সীতাকুণ্ড থেকে লেগুনায় ১০ টাকা ভাড়া ছোট কমলদহ ঈদগাহ রোড।
ছোট কমলদহ ঈদগাহ রোডে নেমে ২০ মিনিট পিচ ঢালা পথ ধরে হাটলে রেললাইন পাবেন, রেললাইনের উপর দাড়িয়ে হাতের ডানে ২০/২৫ হাত দূরে একটি মাটির রাস্তা দেখতে পাবেন পাহাড়ের দিকে চলে গেছে।
আশে পাশে আর কোনো রাস্তা নেই। রাস্তাটি সরু, ২ হাত এর মত চওড়া হবে, রাস্তা ধরে ১০ মিনিট হাটলে কয়েকটি বাড়ি পাবেন। জিজ্ঞেস করবেন লেকটা কোন দিকে।
৫ মিনিট সামনে এগুলে লেকটা পেয়ে যাবেন। লেকের উপরে উঠলে ডানের রাস্তায় যাবেন না, বরং বামের রাস্তা ধরে ১ মিনিট হাটলে ছোট ব্রিজ পড়বে। ব্রিজ এর নিচে ছোট আইল ধরে ১০ মিনিট হেটে চলে যাবেন লেকের একটি প্রান্তে। আপনি হাতের ডান দিকে লেক পার হয়ে আইল ধরে সামনে আগাবেন। বর্ষাকালে হয়ত কিছুটা পানি পাবেন।
যেদিকটা ছোট্র ঝিরির মত দেখতে পাবেন, ১৫ মিনিট হাটলে বড় ঝিরি পাবেন। ৫ মিনিট ঝিরি ধরে হাটলে ঝিরি দুই দিকে চলে গেছে বায়ে হাটুভাঙ্গা ঝর্না আর ডানে হরিনমারা কুণ্ড ঝর্না, দুইটি ঝর্নাই ৫/৭ মিনিট এর দূরত্বে। হাটুভাঙ্গা ঝর্না দেখে ফেরার পথে ১ মিনিট পর ছোট ঝিরি পাবেন, এপথে ৩/৪ মিনিট হাটলে ছোট একটি ঝর্ণা।সব থেকে ভালো হয় ২০০ টাকায় গাইড কাউকে নিয়ে নিলে।
একুশে সংবাদ//আ.ব.ন//২৩.১১.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :