পাহাড়ি মিষ্টি পানে খাগড়াছড়ির চাষিদের মুখে হাসি
একুশে সংবাদ: বেশি মুনাফা হওয়ায় পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে প্রান্তিক চাষিরা। জেলার দীঘিনালা ও পানছড়ির মাইনী ও চেঙ্গী নদীর অববাহিকায় সমতল ভূমিতে বাড়ছে পানের চাষ। পানের গুণগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে পাইকারদের মাধ্যমে এসব মিষ্টি পান জেলার বাইরেও যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে ভালো ফলনে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে।
জেলার দীঘিনালার তেভাংছড়া, নৌকাছড়া এবং পানছড়ির চেঙ্গী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গ্রামজুড়ে অর্থনীতির হাতছানি দিচ্ছে সারি সারি ‘পানের বরজ’। স্থানীয় বেশিরভাগ মানুষই পান চাষের সাথে জড়িত। চাষিরা বিক্রির জন্য পানের বিড়া সাজাচ্ছেন। তবে কৃষি বিভাগ থেকে কোন সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে কৃষকদের। কোন কর্মকর্তা বা মাঠ পরিদর্শক পরিদর্শনেও আসেন না। কর্মকর্তাদের সহযোগিতার অভাবে রোগ-বালাইয়ের প্রতিকার পাচ্ছেন না চাষিরা। এতে কখনো কখনো লোকসান গুনতে হচ্ছে।
চাষিরা জানান, বিশ শতক জমিতে পান চাষে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। একটি সুস্থ পান গাছ থেকে ৮০-১৪০টি পর্যন্ত পান পাওয়া যায়। মানভেদে প্রতি বিড়া পান ১০০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো ফলন এবং বাজারে দাম থাকলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হবে।
একুশে সংবাদ//জ.ন.র.ন//০৩.১১.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :