ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিং
একুশে সংবাদ : আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে ‘ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট (ই-সিগারেট, এইচটিপি): বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত ও আমাদের করণীয়’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।
প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে সচিব বলেন, বিভিন্ন দেশে ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট যেমন, ই-সিগারেট, ভ্যাপিং, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের বিভিন্ন তামাকপণ্য ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। ভ্যাপিং এবং ই-সিগারেটের ব্যবহার পূর্ব ও পশ্চিমের দেশগুলোর মধ্যে বেশি হলেও বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত নয়।
দেশে এ জাতীয় পণ্যের ব্যবহার তরুণ এবং যুব সমাজের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বিক্রয় কেন্দ্র। অনলাইন এবং ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ই-সিগারেট সামগ্রী বিক্রয় হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ ৩০টির অধিক দেশ এসব পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। এই বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে কাজে লাগাতে হবে।
ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট এর ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ই-সিগারেট, ভ্যাপিংসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট উৎপাদন, আমদানি ও বিপণন নিষিদ্ধ করাই হবে বাংলাদেশের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশই তরুণ, যাদের বয়স ২৪ বছর বা এর নিচে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট হিসেবে বিবেচিত এই তরুণ জনগোষ্ঠিকে সঠিক পথে পরিচালনার ওপরই বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত সমৃদ্ধি ও উন্নতি নির্ভর করছে। তামাকাসক্ত অসুস্থ তরুণ প্রজন্ম সমাজ ও অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামস ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিটস্, ইউএসএ-এর পরিচালক বন্দনা শাহসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এস.ব,স // ০৩.১০.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :