নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলার ঘোলাদিঘী গ্রামে এক মহিলার মৃত্যুর ১৭দিন পর তার সম্পুর্ণ মৃতদেহ অলৌকিক ভাবে কবর হতে মাটির উপরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার সকালে কবরের পাশে ওই মহিলার মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায় এবং শত শত উৎসুক জনতা লাশটি দেখতে গ্রামের ওই কবর স্থানে ভিড় জমায়। গ্রামবাসী ও অসংখ্য প্রত্যক্ষ দর্শীদের বর্ণনা মতে ওই গ্রামের আব্দুল লতিফ এর স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী মিলি আরা বেগম (৫০) গত ১ সেপ্টেম্বর রবিবারে তার নিজ বাসায় মৃত্যু বরণ করেন। মুসলিম শরিয়্যাত মতে সোমবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার মৃত দেহ দাফন করা হয়। মহিলাকে কবরস্থ করার ১২দিনের মাথায় ১৩ সেপ্টম্বর সকালে তার কবরের উপরে মৃতের একটি হাত ও কাফনের কাপড় বেরিয়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজন স্থানীয় মৌলভী ডেকে দোয়া কালিমা পড়ে কবর হতে বেরানো হাত ও কাফনের কাপড় গুলি পুনরায় কবরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনা ক্রমে রহস্যজনক ভাবে আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রামের লোকজন ওই এলাকায় গেলে তার কবরের পাশে ওই মহিলার কাফনের কাপড় বিহীন মৃত দেহটি পড়ে থাকতে দেখতে পায়। এর পর ঘটনা জানাজানি হলে শতশত উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে ওই কবর স্থানে ভিড় জমায়। ক্রমেই জনতার উপস্থিতি বাড়তে থাকায় ওই মহিলার পরিবারের লোকজন তড়ি ঘড়ি করে কবরের পাশেই গর্ত না করেই মাটির উপর অন্যত্র হতে মাটি কেটে মৃতদেহটিকে মাটি চাপা দিয়ে ঢেকে দেয়। সৃষ্ট ঘটনাকে অনেকেই বলছে এটি কোন শেয়াল-কুকুরের ব্যাপার হতে পারে আবার লাশটি যেহেতু অক্ষত তাই অনেকেই এটিকে দৈবাৎ ও কাকতালীয় বিষয় বলেও মন্তব্য করছেন। গ্রামবাসী ও মৃত মিলি আরার পরিবারের লোকজন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। একই কবর হতে কবর ফুঁড়ে লাশের হাত, কাফনের কাপড় এবং শেষে সম্পূর্ন মৃতদেহ বেরিয়ে পড়ে থাকার বিষয়টি আজব হলেও গুজব নয় এটি দিনের আলোর মত সত্য বলে এলাকাবসীর মধ্যে সর্বত্রই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। উক্ত ঘটনায় অফিসার ইনচার্জ পরিমল কুমার চক্রবর্তি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান মৃতদেহটি পাশের পুরাতন কবরের গর্ত দিয়ে শিয়াল টেনে বের করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মৃতদেহটি তার পরিবার পূনরায় দাফন করেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। এস.তানভীর // ১৭.০৯.২৫০১৯