গর্ভধারণের আগেই যে সব বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা দরকার
একুশে সংবাদ: গর্ভধারণ যেকোনো নারীর জন্যেই নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক।মায়ের তার সন্তানকে পৃথিবীরে আলো দেখিয়ে যেন আনন্দের শেষ থাকে না।অন্যদিকে বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ার গোছাতে গিয়ে অনেক ছেলেমেয়েরই বিয়ে হয় দেরিতে।তাই গর্ভধারণ হয় আরো দেরিতে। আর এর জন্যই সময়ের চেয়ে বেশ কিছু পরে মা-বাবা হয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলে কিছু জটিলতা অনেকের ক্ষেত্রেই আসে।
সন্তান নেওয়ার সময় যে কোনো সমস্যা সমাধানে সবার আগে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে তাদের পরামর্শ নেওয়াই ভাল। চিকিৎসক যেভাবে বলবেন, সেভাবে চললে কোনও সমস্যা হবেনা। কখনো আবার সমস্যা এলেও সেটি নির্মূল করা যায়।
প্রি প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। গর্ভধারণের আগেই যে সব বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা যেতে পারে তা চলুন জেনে নেওয়া যাক:
১. যৌন রোগের আশঙ্কা থাকলে রক্ত পরীক্ষা করে, ভালো করে চিকিৎসা করান। কিছু যৌন রোগ ক্রনিক হয়ে গেলে বন্ধ্যাত্বও হতে পারে। কাজেই সাবধান।
২. পরিবারে কোনো জেনেটিক অসুখ থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো চলুন। প্রয়োজনে ক্রোমোজোমাল স্টাডি করে তবে এগোন।
৩. মেয়েরা ৪০০ মাইক্রোগ্রাম করে ফোলিক অ্যাসিড খান। মাল্টিভিটামিনও খেতে হতে পারে। তবে অ্যানিমিয়া না থাকলে আয়রন সাপ্লিমেনন্টের দরকার নেই।
৪.স্বামী-স্ত্রী ওজন কম রাখার চেষ্টা করুন, বিশেষ করে স্ত্রী। শরীরচর্চা করুন। মন শান্ত রাখুন। সেই সঙ্গে ঘরে বানানো কম ক্যালোরির সুষম খাবার খান।
৫. মদ্যপান ও ধূমপান করবেন না। সন্তানধারণের সময় এই দু’টিই বেশ ক্ষতিকর, বিশেষ করে জটিলতা থাকলে তো এই সব আরো সমস্যা তৈরি করে।
৬. মহিলাদের যদি রুবেলার প্রতিষেধক না নেওয়া থাকে, স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে প্রয়োজন হলে এমএমআর টিকা দিয়ে ৩ মাস অপেক্ষা করার পর গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
৭. উচ্চ রক্তচাপ থাকলে চিকিৎসায় তাকে নিয়ন্ত্রণে এনে গর্ভধারণের কথা ভাবুন। ডায়াবেটিস বা হাইপোথাইরয়েডিম থাকলেও এক ব্যাপার।
৮. ভেরিসেলা বা চিকেন পক্সের স্ক্রিনিং করান। রোগের প্রতিরোধ কম থাকলে প্রতিষেধক দেওয়ার পর তবেই আসবে গর্ভধারণের প্রশ্ন।
৯. এইচআইভি টেস্ট করান। রিপোর্ট পজিটিভ এলে কীভাবে কী করতে হবে তা বিশেষজ্ঞের কাছে জেনে সেই মতো এগোন।
এস.নাহিদ // ১০.০৯.১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :