আল্লাহর অতি নিকটে পৌছানো যায় সিজদার মাধ্যমে
একুশে সংবাদ: আমরা মানুষ। আর এই মানবসৃষ্টির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত করা । ইবাদতের মর্মকথা হলো সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী সত্তার সামনে সর্বাধিক বিনীতভাবে নিজেকে সঁপে দেওয়া।
আর আক্ষরিক অর্থে এটা সিজদার মাধ্যমে সম্ভব। সিজদা হলো আল্লাহর প্রাপ্য এবং আল্লাহর প্রতি যাবতীয় ইবাদতের শ্রেষ্ঠাংশ। মহান আল্লাহ মানুষকে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অতঃপর সারা বিশ্বের মানুষের সিজদার প্রতীক হিসেবে কাবাগৃহকে নির্ধারণ করেছেন। ফলে গোটা বিশ্বের মানুষ আল্লাহর আদেশে কাবাগৃহকে কিবলা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ঠিক তেমনি সৃষ্টির সূচনায় আদম (আ.)-কে ‘কিবলা’ বানিয়ে সিজদা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সিজদার মাধ্যমে আল্লাহর সর্বাধিক কাছাকাছি :
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয়, যখন সিজদারত থাকে। অতএব তোমরা তখন অধিক দোয়া করতে থাকো। (মুসলিম, হাদিস : ৪৮২)
রাবিআহ ইবনে কব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রাত যাপন করতাম। একদা আমি তাঁর অজু ও ইসতেঞ্জা করার জন্য পানি আনলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কিছু চাওয়ার থাকলে চাইতে পারো। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার সঙ্গে জান্নাতে থাকতে চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ওটা ছাড়া আর কিছু চাও কি? আমি বললাম, এটাই চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে বেশি বেশি সিজদার দ্বারা তুমি এই ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৯)
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার যেকোনো উম্মতকে কিয়ামতের দিন আমি চিনে নিতে পারব। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, এত মানুষের মধ্যে আপনি তাদের কিভাবে চিনবেন? তিনি বলেন, তোমরা যদি কোনো আস্তাবলে প্রবেশ করো যেখানে নিছক কালো ঘোড়ার মধ্যে এমন সব ঘোড়াও থাকে, যেগুলোর হাত, পা ও মুখ ধবধবে সাদা, তবে কি তোমরা উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে না? সাহাবিরা বললেন, হ্যাঁ, পারব। তিনি বলেন, ওই দিন সিজদার কারণে আমার উম্মতের চেহারা সাদা ধবধবে হবে, আর অজুর কারণে হাত-পা উজ্জ্বল সাদা হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৮৩৬)
একুশে সংবাদ//ক.ক.ন//২০.০৮.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :