সৌদি আরবের মার্কিন সৈন্য নেয়ার সিদ্ধান্ত
একুশে সংবাদ : সৌদি আরব আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ওয়াশিংটনের সৈন্য নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা ক্রমেই বেড়েই চলার প্রেক্ষাপটে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিল। সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একথা জানায়।
ওই মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, ‘সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার কথা বিবেচনা করে বাদশাহ সালমান আমেরিকার সৈন্য নেয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।
ইরাক যুদ্ধের অবসানের পর ওয়াশিংটন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ায় ২০০৩ সাল থেকে সৌদি আরবে আর কোন মার্কিন সৈন্য ছিল না।
কুয়েতে ইরাক আগ্রাসন চালানোয় ১৯৯১ সালে অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম শুরু হওয়ায় সৌদি আরবে দীর্ঘ ১২ বছর মার্কিন সৈন্য অবস্থান করে।
ইরাক যুদ্ধ চলাকালে রাজধানীর প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত প্রিন্স সুলতান বিমানবন্দরে ২শ’ মার্কিন বিমান রাখার ব্যবস্থা এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন সদরদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৭শ’ মিশন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।
কিন্তু ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ বিমান হামলার পর এ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সব সময় স্বাভাবিক ছিল না। কারণ, নিউইয়র্কে হামলার মূল হোতা ছিলেন সৌদি বংশোদ্ভূত আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন।
এদিকে ইরান হরমুজ প্রণালীতে ব্রিটেনের পতাকাবাহী একটি ট্যাঙ্কার জব্দ এবং মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের একটি নৌযানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ানোয় তেহরানের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে জানানোর পর শুক্রবার ফের উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়ে যায়।খবর এএফপি’র।
একুশে সংবাদ // এস.ই,ফ // ২০.০৭.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :