AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নারী নির্যাতন জাতীয় উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা -আইনমন্ত্রী


Ekushey Sangbad

০৭:৫৫ পিএম, জুন ১৬, ২০১৯
নারী নির্যাতন জাতীয় উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা -আইনমন্ত্রী

একুশে সংবাদ : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নারীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের সংবিধান পুরুষের সাথে নারীর সমঅধিকার প্রদান করলেও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া নারীদের প্রায় প্রতিনিয়ত পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বঞ্চনা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আর এই নারী নির্যাতন হচ্ছে আমাদের কাঙ্খিত জাতীয় উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই বাধা দূর করার জন্য ইতিপূর্বে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ ছিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আধুনিকায়ন। মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণে ৪৪ জন প্রোসিকিউটর অংশ নেন। মন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালগুলোতে বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পূর্বের ৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ২৯টি জেলায় আরো ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করে সেগুলোতে বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী জনগণের মনে নতুন করে আশা জেগেছে যে, তারা স্বল্পসময়ে, স্বল্পব্যয়ে ও সহজে ন্যায়বিচার পাবেন। আনিসুল হক বলেন, আমাদের মামলাজট কমিয়ে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য মাত্রায় আনতে হবে এবং এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। কারণ বিলম্বিত বিচারে বিচারপ্রার্থী জনগণ যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তেমনি তার ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সংকুচিত হয়। অপরাধীর পার পেয়ে যাওয়ার পথ সুগম হয় এবং তারা নতুন করে অপরাধ করতে উৎসাহিত হয়। এতে সমাজের অন্যরাও অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করে না। বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রসিকিউটরদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনাদেরকে অবশ্যই আদালতের সময় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আদালতে সঠিক সময়ে সাক্ষী হাজিরসহ নির্ধারিত তারিখে সাক্ষী পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হতে হবে। সর্বাবস্থায় আদালতের নির্দেশনা পালন করে আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে হবে। তাছাড়া মামলা জট কমানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিচার বিভাগকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এসডিজি এবং ভিশন ২০২১ এর লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য আইন মন্ত্রণালয় বিচার বিভাগকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। ভাতা বৃদ্ধিসহ সার্বিক সুযোগসুবিধার বিষয়ে সরকার অবগত। তাই ভাতা ও সুযোগসুবিধা বৃদ্ধির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রশিক্ষণ শেষে নিজ নিজ কর্মস্থলে গিয়ে উন্নত নৈতিকমান ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে আন্তরিকতার সাথে মামলা পরিচালনা করার আহবান জানিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থী জনগণ আপনাদের নিকট যেন সবরকম সহোযোগিতা পায় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। সরকার দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। সেজন্য আদালত অঙ্গনে দুর্নীতি সংক্রান্ত সকল প্রথাগত কর্মকা- পরিহার করে সততা, স্বচ্ছতা এবং সাহসিকতার সমন্বয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলেই জনগণের প্রত্যাশিত স্বল্পসময়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে এবং বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হকও বক্তৃতা করেন।   একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ১৬.০৬.২০১৯
Link copied!