দেশীয় ফলের চাষ বৃদ্ধি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
একুশে সংবাদ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি শাক-সবজি এবং ফলমূল উৎপাদনেও ব্যাপক সাফল্য এসেছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এখন পুষ্টির নিরাপত্তা অর্জন একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেশীয় ফল বিশেষ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় দেশীয় ফলমূলের যোগান নিশ্চিত করতে হবে। তাই পরিকল্পিতভাবে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে বছরব্যাপী দেশীয় ফলের চাষ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপও করেন তিনি।
‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ বছর ১৬-৩০ জুন ‘ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ’ এবং ১৬-১৮ জুন ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’র আয়োজন করা হয়েছে। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ প্রতি বছরই কম বেশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ নৈসর্গিক শোভা বর্ধনে দেশীয় ফল ও ফলদ বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি পরিবর্তিত জলবায়ুর অভিঘাত বিবেচনায় নিয়ে অঞ্চল উপযোগী স্বল্প মেয়াদি, অধিক ফলনশীল ও লাগসই দেশীয় ফলের জাত উদ্ভাবনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ফল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ফলের বাগান গড়ে তোলার সাথে সাথে গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ির আঙিনায়, রাস্তার ধারে, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় এবং শহরাঞ্চলে বাসভবনের ছাদে যতটা সম্ভব ফলদ বৃক্ষ রোপণ করা যেতে পারে।
অবহেলা ও সংরক্ষণের অভাবে আমাদের ঐতিহ্যবাহী দেশীয় ফলগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডেউয়া, চালতা, কাউ, করমচা, জাম, গোলাপজাম, ক্ষুদেজাম, তেঁতুল, বরই, লটকন, বিলিম্বি, গাব ইত্যাদি দেশি ফল বৃক্ষ রোপণে বিশেষ নজর দিতে হবে।
একইসাথে স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগনফল, এভাকাডো, মিষ্টি তেঁতুল ইত্যাদি নতুন বিদেশি ফলের আবাদ বৃদ্ধির জন্যও উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন তিনি। ।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন , ‘ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ’ এবং ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ আমাদের ফল চাষে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ২০১৯’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ১৫.০৬.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :