ঘরে বসে তৈরি করুন মাউথওয়াশ
একুশে সংবাদ : দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত ব্রাশ করা। নইলে দুর্গন্ধ, ক্যাভিটি, প্লাক জমা, এনামেল নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নানান সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে । তাই দিনে কমপক্ষে দু’বার হলেও দাঁত ব্রাশ করা দরকার।
দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি চাই উপযুক্ত মাউথওয়াশ। কারণ মাউথওয়াশ শুধুমাত্র মুখের দুর্গন্ধ দুর করে না ,বরং মুখ গহ্বরের সুস্বাস্থ্যও রক্ষা করে। তাই মাউথওয়াশ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন। চলুন দেখে নেওয়া যাক, ঘরোয়া উপায়ে মাউথওয়াশ তৈরির উপায় -
বেকিং সোডা: আধা চা চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে আধা গ্লাস কুসুম গরম পানি মিশিয়ে নিলেই একধরনের মাউথওয়াশ তৈরি হবে।এই মিশ্রণ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার পর কিংবা দিনের যেকোনো সময় ব্যবহার করা যেতে পারে।বেকিং সোডা মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
নারকেল তেল: "ওয়েল পুলিং"নামের এই পদ্ধতির জন্য চাই এক চা চামচ নারিকেল তেল। তেলটুকু মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ কুলি করতে হবে। পরে তেল ফেলে দিয়ে জল দিয়ে ভালোভাবে কুলি করতে হবে।এই পদ্ধতিতে মুখ পরিষ্কারের পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদান অপসারণ ও দাঁতে ‘প্লাক’ জমা রোধ করে ।
লবন: লবন-পানি দিয়ে কুলকুচি করা সম্পর্কে অনেকেই জানেন। এখানেও চাই আধা গ্লাস কুসুম গরম পানি আর আধা চা চামচ লবন। একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই কাজ শেষ। মাউথওয়াশের মতোই সমান কার্যকরী এটি।
অ্যালোভেরা: আধা কাপ অ্যালোভেরা আর আধা কাপ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার সময় এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। দাঁতে ‘প্লাক’ জমা রোধ করার পাশাপাশি রক্তক্ষরণ বন্ধ করে এই মিশ্রণ।
দারুচিনি আর লবঙ্গের তেল: এক কাপ পানি ১০ ফোঁটা দারুচিনির তেল আর ১০ ফোঁটা লবঙ্গের তেল যোগ করতে হবে। উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সাধারণ মাউথওয়াশের মতো করেই ব্যবহার করতে পারবেন। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এই মিশ্রণ, তাই একসঙ্গে বেশি করে বানিয়ে রেখে দিতে পারেন।
একুশে সংবাদ //এন.ক.ত //১২.০৬.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :