সংস্কৃতির বিনিময় পর্যটন বিকাশে সহায়ক:পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
একুশে সংবাদ : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, সংস্কৃতির বিনিময় পর্যটন বিকাশে সহায়তা করে। এটি উভয় দেশের জনগণকে লাভবান করে এবং এর মাধ্যমে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে ‘নেপালি-বাংলা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগত। নেপালের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা মৈথালি ভাষার কবি বিদ্যাপতি এবং তার কর্ম আমাদের মধ্যযুগীয় সাহিত্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
একুশ শতকের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা এবং আমাদের মধ্যকার সম্ভাবনাকে বিকশিত করে বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য উভয় দেশকেই পরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী এ দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেপালের ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, নেপাল বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সরকার ও জনগণ তাদের সমর্থন ও সহমর্মিতা নিয়ে এ দেশের জনগণের পাশে ছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দানকারী ৭ম দেশ নেপাল। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর হতেই আন্তরিকতা, সদিচ্ছা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নত হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ এবং নেপাল জাতিসংঘ, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, সার্ক ও বিমসটেকসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংগঠনে বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ স্বার্থ রক্ষায় একত্রে কাজ করে চলেছে।
তিনি বলেন, পর্যটন ও বাণিজ্যের উন্নয়নে ইতিমধ্যেই ঢাকা-কাঠমান্ডু সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যটনের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
মাহবুব আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বহুমাত্রিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করেছেন।
দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য পরিচালনার সুবিধার্থে কাকরভিটা-ফুলবাড়ী-বাংলাবান্ধা রুটটি ১৯৯৭ সাল হতেই চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়নে নেপালি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এছাড়াও প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন নেপালি শিক্ষার্থী চিকিৎসাবিদ্যা, নার্সিং এবং প্রকৌশল বিদ্যাসহ অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে আসে।
আমি বিশ্বাস করি তারা উভয় দেশের সম্পর্কোন্নয়নে এক এক জন দূত।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ডন বাহাদুর ওলি বক্তৃতা করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত ছিলেন।
নেপাল কালচারাল কর্পোরেশন ও বাংলাদেশের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ২০.০৪.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :