আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের ভূমিকা রাখতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
একুশে সংবাদ : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতবাসী আমাদের পাশে ছিল।
আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চলের মানুষ একই রকম আর্থসামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী।
এ অঞ্চলের সমস্যা ও সম্ভাবনাও কাছাকাছি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান ও সম্ভাবনা কাজে লাগানো সম্ভব।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মাঝে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু হলে যুগের চাহিদা অনুযায়ী আন্তর্জাতিকমানের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব হবে এবং পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ অঞ্চল Intellectual Powerhouse হিসেবে গড়ে উঠবে।
গতকাল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে ভারত-বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের আন্তর্জাতিক কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মোঃ ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ কনভেনশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, মেঘালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মোঃ মাহবুবুল হক, গোহাটী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মৃদুল হাজারিকা প্রমুখ। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ডিন, রেজিস্ট্রার ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মৃদুল হাজারিকা বলেন, রাজনৈতিক কারণে আমারা আজ বিভক্ত কিন্তু আমাদের মাঝে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে। হাজারিকার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আব্দুল মান্নান বলেন চট্টগ্রাম পোর্ট প্রায় এক হাজার বছরের পুরাতন পোর্ট। বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য এ পোর্ট কেন্দ্রিক ছিল।
এ অঞ্চলের ভাষা, শিল্প-সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য একই রকমের। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে আমরা আজ দুই দেশের নাগরিক। তিনি বলেন মানুষের মন, স্পিরিট ও সংস্কৃতিকে ভাগ করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মাঝে একাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগাম চালু করে আমরা এ অঞ্চলের মাঝে সেতুবন্ধ রচনা করতে পারি।
একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ০৭.০৪.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :