AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী


Ekushey Sangbad

০৭:২১ পিএম, মার্চ ১৭, ২০১৯
দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

একুশে সংবাদ : শিশুদের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে তিনি এমন সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান যেখানে ক্ষুধা, দারিদ্র ও অক্ষরজ্ঞানহীনতা থাকবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধশালী করে এমনভাবে গড়ে তুলবো যেখানে আগামীর শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত থাকবে এবং তারা সুন্দর জীবনের অধিকারী হবে, যে স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতির পিতার ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় তাঁর সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে আয়োজিত শিশু-কিশোর সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জাতির পিতা যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তেমন বাংলাদেশ গড়ে তোলাই তাঁর লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে হারিয়ে ৬ বছর বিদেশে থাকতে বাধ্য হওয়ার পর ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরেই তিনি এ প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেছিলেন। লাখো জনতার মাঝে হারানো স্বজন খুঁজে ফেরা বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমি দেশবাসী বিশেষ করে টুঙ্গীপাড়া ও কোটালিপাড়ার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তাঁদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার কোন শেষ নেই এই কারণে যে, এই এলাকাটা (তাঁর নির্বাচনী আসন) আমার দেখার কোন প্রয়োজনই হয় না। এখানকার সব দায়িত্বই জনগণ নিয়ে নিয়েছে। আমি তিন ভাই হারিয়েছি, কিন্তু পেয়েছি লাখো ভাই।’ মানব সেবাতেই তাঁর এ জীবন উৎসর্গকৃত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,‘ আমি আমার জীবনটা উৎসর্গ করেছি, আমরা দুটি বোন (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) আমাদের জীবনটা উৎসর্গ করেছি জনগণের জন্য, জনগণের কল্যাণে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ যদি ভাল থাকে, উন্নত জীবন পায়- সেটাই তাঁদের সবথেকে বড় পাওয়া। আর এজন্যই দেশের জন্য তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আকাঙ্খা ব্যক্ত করে বলেন, এই বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। যেন আজকের শিশু আগামী দিনে সুন্দর একটা ভবিষ্যত ও সুন্দর জীবন পায়। তিনি বলেন, কখনই তিনি মৃত্যুভয়ে ভীত নন, বারবারই তাঁর ওপর প্রানঘাতী আঘাত আসায় তাঁর মনে হয়েছে – তাঁকে হয়তো তাঁর বাবার ভাগ্যই বরণ করতে হতে পারে। কিন্তু সেজন্য তিনি দমে যাননি বা কাজ থেকে কখনও দূরে সরে আসেননি। শেখ হসিনা বলেন, ‘সব সময় মনে করেছি আমাকে কাজ করতে হবে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। আর সিদ্ধান্ত নিয়েই আমি আজও পথ চলছি। ‘ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশে আজকের শিশুদের ভবিষ্যত সুন্দর করে গড়ে তুলতে চান’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা শিশুদেরবে সবসময় ভালবাসতেন। তাই তাঁর জন্মদিনটি আমরা শিশু দিবস হিসেবেই সবসময় উদযাপন করি। মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থল টুঙ্গীপাড়ার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গোপালগঞ্জ মালেকা একাডেমীর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী লামিয়া সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আরাফাত হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন্নাহার, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কেএম আলী আজম এবং গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান সরকার ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনাকে অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলা ব্রান্ডিং-এর লোগো’র একটি রেপ্লিকা উপহার দেন এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা চিঠির উপর ভিত্তি করে রচিত ‘বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি’র মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে লেখা সেরা চিঠিটি ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া শারমিন পাঠ করে শোনান। ‘আমার কথা শোন’ শীর্ষক একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শিত হয়।প্রধানমন্ত্রী একটি বই মেলার উদ্বোধন করেন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আঁকা ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গীপাড়া এবং কোটালীপাড়ার দু’জন দরিদ্র মহিলা কণা বেগম এবং তানজিলার নিকট সেলাই মেশিন হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝেও পুরস্কার বিতরণ করেন। একুশে সংবাদ // এস.ব,স// ১৭.০৩.২০১৯
Link copied!