মার্কিন জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
একুশে সংবাদ : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন, বাংলাদেশ সুনামের সাথে এবং সফলভাবে বিশ্ববাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ। উভয় দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের পক্ষে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫ হাজার ৯৮৩ দশমিক ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১ হাজার ৭০৩ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আগেও কোনো জিএসপি সুধিবা পেত না। টোবাকো, সিরামিক, প্লাস্টিকের মতো কিছু পণ্যের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা প্রদান করত।
অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সে সুবিধাও স্থগিত করা হয়। বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের ক্রেতাগোষ্ঠীর পরামর্শ মোতাবেক দেশে তৈরি পোশাকের কারখানাগুলোর পরিবেশ উন্নত এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন জিএসপি স্থগিত রাখার কোনো কারণ নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়া। এ বিষয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ আমেরিকান চেম্বার অভ্ কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘২৬তম ইউএস ট্রেড শো-২০১৯’ এর উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। মার্কিন বিনিয়োগারীরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, এবারের মেলায় দেশটির ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭৪টি স্টল রয়েছে। মেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নতমানের পণ্য ও সেবার প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় হবে।
প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশ ফি ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্কুল শিক্ষর্থীরা ড্রেস পরে এবং নিজের আইডি কার্ড প্রদর্শন করে ফি ছাড়া মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
আমেরিকান চেম্বার অভ্ কমার্স ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোঃ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত Earl R. Miller।
একুশে সংবাদ // এস.বিধান // ১৪.০৩.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :