রপ্তানির সম্ভাবনাময় মধু খাত :কৃষিমন্ত্রী
একুশে সংবাদ : মৌ চাষ পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পরাগায়ণের মাধ্যমে ফল ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মৌ সম্পদের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রসেসিং ও বাজারজাত অপরিহার্য। মধু উৎপাদন ও বিপণনের মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
মধু উৎপাদন, বিপণন, প্রসেসিং নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। মৌ চাষ স্বল্প শ্রম ও স্বল্প বিনিয়োগের তুলনায় অধিক মুনাফা লাভের ব্যবসা হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও মৌ চাষ ও বিপণনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মোট ৩০ শতাংশ নারী জড়িত।
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক গতকাল ঢাকায় খামারবাড়িতে আকামু গিয়াস উদ্দিন মিলকি অডিটরিয়াম চত্বরে জাতীয় মৌ মেলা ২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিন দিনব্যাপী এবারের মৌ মেলার প্রতিপাদ্য-‘ফলন, আয় ও পুষ্টি বাড়াতে মৌ চাষ করি’। এবারের মেলায় মোট ৬০টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই কৃষিসহ ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সুউচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন।
কৃষিকে প্রকৃত বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে হবে, এর জন্য বাজারজাত ও রপ্তানি অপরিহার্য। জাপান আমাদের দেশ থেকে মধু আমদানি করে, তাহলে সে দেশে আরো অনেক কিছু রপ্তানি করা যাবে সেগুলো বের করতে হবে।
আমাদের প্রক্রিয়াজাত ও দেশীয় ব্রান্ড না থাকায় কাঁচা মধুও রপ্তানি করতে হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মৌমাছির বিভিন্ন প্রজাতি আজ বিপন্নপ্রায়। তাই প্রকৃতির সুরক্ষায় সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর মোঃ আহসানুল হক স্বপন।
একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ১১.০৩.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :