প্রতি বছর পাঁচ কোটি টাকারও বেশি বীজ রপ্তানী করছে লালতীর
গাজীপুরঃ “ভাল বীজ ভাল ফসলের পূর্ব শর্ত” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকাস্থ লাল তীর বীজ উৎপাদন কারখানা ও গবেষণা কেন্দ্রে শনিবার কৃষি ও কৃষকের জন্য উদ্বোধন করা হলো ‘লাল তীর দিবস’।
প্রতিবছর ১২ মেট্রিক টন লাল তীর উৎপাদিত সব্জি বীজ বিভিন্ন দেশে রপ্তানী হচ্ছে। যার মূল্য হলো পাঁচ কোটি টাকারও বেশি। দুপুরে ওই প্রতিষ্ঠাণের আর এন্ড ডি খামারে ৬দিন ব্যাপি (১৯-২৪জানুয়ারি) ’লাল তীর দিবস’র উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা ওইসব তথ্য দেন।
লাল তীর সীড লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার নাসিম আকবর বলেন, সব্জি, ভুট্রা, ধান, গম, পাট, তুলা, তৈলবীজ এবং ডাল জাতীয় ফসল লাল তীরের মূল উৎপাদিত পণ্য।
লাল তীরের হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল সব্জি বীজ বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিবছর ওমান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, পাকিস্থান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভিয়েতনাম, উগান্ডা, ফিলিপাইন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালীসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে এশিয়া মহাদেশের এসব দেশে ১২ মেট্রিক টন সব্জি বীজ রপ্তানী হয়েছে, যার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। ২০১৬সালেও ওইসব দেশে সাড়ে তিন কোটি টাকার মেট্রিক টন বীজ রপ্তানী হয়েছে।
তবে এশিয়া মহাদেশ ছাড়াও আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যেও এখানকার বীজ রপ্তানী হচ্ছে। প্রতিবছর গড়ে ২৫০/৩০০ মেট্রিক টন সব্জি বীজ উৎপাদন হচ্ছে। লাল তীর ১০০টি উফশী এবং ৭৫টি হাইব্রিড জাতের সব্জি উদ্ভাবন করেছে।
লাল তীর লিমিটেড’র চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু জানান, ১৯৯৬ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট সীড (বাংলাদেশ) লি. নামে লাল তীরের যাত্রা শুরু হলেও ২০০০সালে এ প্রতিষ্ঠান থেকে উৎপাদিত বীজ বাজারজাত হচ্ছে। এরপর থেকে এ প্রতিষ্ঠাণটি আর পিছু হটেনি।
দেশের পুষ্টি ও খাদ্যাভাব পূরণ করতে ব্যক্তি উদ্যোগে এ ধরণের আরো প্রতিষ্ঠান স্থাপনের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে বেকারদের কর্মসংস্থান ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তাজওয়ার এম আউয়াল, ভূটানের রাষ্ট্রদূত সোনাম তোবদেন রাবগায়ি, পাকিস্থানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সালমান খান, নেদারল্যান্ডের ডেপুটি হেড অব মিশন জেরন স্টিগথ্, ওমানের হেড অব মিশন তায়েব সেলিম আলালি, সিরডাপ’র মহাপরিচালক তাকিতা জি. বোসেইকা তাজিনা ভ’লাও এবং ব্রিটিশ ডেপুটি হ্ইাকমিশনারসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠাণের কর্মকর্তা ও কৃষিবিদগণসহ উপস্থিত ছিলেন।
পরে তারা প্রতিষ্ঠাণের কারখানা ও বিভিন্ন কার্যক্রমসহ গবেষণা প্লটসমূহ পরিদর্শন করেন। এসময় দেশী ও বিদেশী পর্যবেক্ষকদের কাছে লাল তীর বীজের প্রযুক্তি ও গুনাগুন তুলে ধরা হয়।
পরিচালক তাজওয়ার এম আউয়াল বলেন, নকল প্রতিরোধে লালতীরের প্যাকেটের রং পাল্টানো হচ্ছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এ লালতীর দিবস পালিত হবে। লাল তীর কৃষক, বিক্রেতা ও পরিবেশকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য অ্যাপস, এস এম এস এবং ফোন কল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছে।
একুশে সংবাদ //এস.সানি // ১৯.০১.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :