এক দিনে ঘুরে আসুন মালনীছড়া চা বাগান
একুশে সংবাদ : সিলেটে ভ্রমণে যাবেন । আর মালনীছড়া চা বাগানে যাবেন না তা হয় না ।মালনীছড়া চা বাগান উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা বাগান। মাত্র ৭০০ টাকায় ঘুরে আসতে পারেন এই চা বাগান থেকে ।
যা দেখবেন :
মেঘকন্যার আগমনে সবুজ চায়ের বাগান। দূর মেঘালয় থেকে হিম বাতাস বয়ে নিয়ে আসে অতিথি মেঘকন্যাকে।
তার পর চা বাগানের আকাশ সাজে শুভ্র মেঘমালায়। একসময় মেঘকন্যা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে কচি চা পাতার ওপর।
বৃষ্টির পরশে চায়ের পাতা তার রং বদলায়। বর্ষায় দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ি তোলার উপযুক্ত সময়। অর্থাৎ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চায়ের মৌসুম। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাসে চা প্লাকিং করা হয় না।
কারণ, শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডায় চা পাতার কুঁড়ি বৃদ্ধি পায় না। চা গাছের সব পাতায় কিন্তু চা হয় না। শুধু দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ি হলো চায়ের মূল উৎস।
দুটি পাতা থেকে আসে লিকার এবং কুঁড়ি থেকে আসে ফ্লেভার। চা বাগান মানেই দিগন্তপ্রসারী সবুজের মাঝে ছায়াবৃক্ষের মিলনমেলা।
কখনো গভীর অরণ্যে উপলব্ধি করতে পারবেন আলোছায়ায় মায়াময় লুকোচুরি খেলা। প্রায় আড়াই হাজার একর ভূমিস্বত্ব সীমানায় উঁচু-নিচু টিলার পর টিলায় ভরা চা বাগানটি। রয়েছে এক হাজার দুইশ একর জমি, রাবার আবাদের জন্য সাতশ একর জমি এবং কারখানা, আবাসন, বৃক্ষ, বনজঙ্গলজুড়ে বাকি জমিটুকু। যাঁরা খুব অল্প সময়ে খুব সুন্দর কোনো সবুজের গালিচায় হারিয়ে যেতে চান, তাঁদের জন্য অনন্য মালনীছড়া চা বাগান।
যে ভাবে যাবেন :
ঢাকা থেকে বাসে প্রথমে আপনাকে আসতে হবে সিলেটে।ভাড়া নেবে ৩২০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন সকাল, দুপুর, রাতে ট্রেন ছাড়ে সিলেটের উদ্দেশে। আর মহাখালী, সায়েদাবাদ থেকে বাস আধা ঘণ্টা পর পর ছাড়ে সিলেটের উদ্দেশে। ট্রেন/ বাসস্টেশন থেকে মালনীছড়া চা বাগান যেতে রিকশা, সিএনজি ভাড়া নেবে ৪০ থেকে ১৫০ টাকা।
একুশে সংবাদ // এস.স,প // ০৯.০৪..২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :