রোহিঙ্গারা বিচার চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
একুশে সংবাদ : মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশা নিজের চোখে দেখা ও নিজের কানে শোনার পর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, "তারা বিচার চায়। নিরাপদে ফিরে যেতে চায় বাড়িতে।
কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেছেন তিনি। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে শুনেছেন তাদের পালিয়ে আসার কাহিনী।
এর মধ্যেই গুতেরেস টুইট করে বলেছেন, "মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে হত্যা আর ধর্ষণের আমি যে বিবরণ শুনেছি সেটা অকল্পনীয়।খবর বিবিসি বাংলা ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফরের সময় তার সাথে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও।
জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পরে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। এর আগে জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করে গেলেও সংস্থাটির মহাসচিব এই প্রথম তাদেরকে দেখতে গেলেন।
পরে সংবাদ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গাদের যে দুঃখ কষ্ট তিনি দেখেছেন তাতে তার হৃদয় ভেঙে গেছে।
গুতেরেস বলেছেন এসব ক্যাম্পে যে অবস্থা তিনি দেখেছেন তার এক ট্র্যাজিক ঘটনা।
ছোট ছোট রোহিঙ্গা শিশুদের দেখে আমার নাতি নাতনিদের কথা মনে পড়ে গেছে। তাদের অবস্থাও যদি এমন হতো তাহলে কিরকম হতো," বলেন গুতেরেস।
জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, রোহিঙ্গারা যাতে দেশে ফিরে যেতে পারেন সেজন্যে তারা কাজ করছেন। তবে তিনি বলেছেন, "তাদের ফিরে যাওয়া শুধু সেখানে অবকাঠামো তৈরির বিষয় নয়। তারা যাতে সম্মানের সাথে ফিরে যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারে পরিকল্পিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই অবস্থা এভাবে চলতে পারে না। এর একটা সমাধান করতে হবে।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে গত অগাস্ট মাসের পর থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে এর আগে জাতিসংঘ উল্লেখ করেছে জাতিগত নিধন অভিযান হিসেবে।
বিশ্বব্যাংকও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখাশোনা করার জন্যে গত সপ্তাহে ৪৮ কোটি ডলারের একটি অনুদানের কথা ঘোষণা করেছে।
একুশে সংবাদ // এস.ব.স // ০২.০৭.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :