ভাই সময় কত???
একুশে সংবাদ : ভাই সময় কত??? টাইম কত, , কয়টা বাজে ???? এমন হরেক রকমরে প্রশ্নের উত্তর দিতে আমরা যে প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান দেই তার নাম হলো ঘড়ি।
এটির ব্যবহার চোখ খোলা থেকে চোখ বোজার আগ পর্যন্ত। পৃথিবিতে বিভিন্ন রকমের ঘড়ি দেখা যায় তার মধ্যে হাত ঘড়ি আর দেওয়ার ঘড়ির প্রচলন বেশি ।
মূলত এটি ব্যবহার করা হয় সঠিক সময় জানার কাজে এক সময় অফিস, বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে প্রায় সব সময় মানুষের হাতে শোভা পেতো ঘড়ি। কালের বিবর্তনে অতীত হতে চলেছে এমন দৃশ্যপট।
সস্তা ও সহজ লভ্য মোবাইল ফোনে ঘড়ি সংযুক্ত থাকায় সীমিত হয়ে এসেছে জনপ্রিয় অনুষঙ্গটির ব্যবহার।
মোবাইল ফোনে সংযুক্ত ঘড়ির উপর নির্ভর করে চলছেন সবাই।মুঠো ফোনে সংযুক্ত রয়েছে ঘড়ি -টর্চলাইটসহ নানা ফ্যাশান। যার কারণে ঘড়ির ব্যবহার বিশেষ করে হাত ঘড়ির ব্যবহার ক্রমশ কমে আসছে।
তবে ফ্যাশান সচেতন ও রুচিশীল ব্যক্তিত্বের কাছে এখনো কমেনি এই ঘড়ির কদর। ভালো পোশাকের সাথে দামী ব্রান্ডের ঘড়ির ব্যবহার তাদের কাছে আগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সর্ব সাধারণের ভেতর ঘড়ি ব্যবহারের রেওয়াজ যে অনেকাংশে কমে গেছে তা নিশ্চিত বলে মনে করছেন সচেতনরা।অনেক মোবাইল ঘড়ির মেকানিক এখন পেশা পাল্টেছেন। অন্য পেশা বেছে নিয়ে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কেউবা আবার আকড়ে ধরে আছেন পুরনো পেশাটা।
পৃথিবরি ইতিহাস প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ির নাম -সূর্যঘড়ি। আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবিলনে এর উৎপত্তি।তবে সময় দেয় একদম নিখুঁত।গোলাকার চাকতিতে একটি নির্দেশক কাঁটা ও দাগ কাটা সময়ের ঘর,এ নিয়েই সূর্যঘড়ি।। ধারণা করা হয় মিশরীয়রাই প্রথম প্রকৃতিনির্ভর অর্থাৎ সূর্য-ঘড়ি নির্মাণ করেছিল আর ১৪ শতাব্দীতে এসে ইউরোপিয়ানরাই এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি আবিষ্কার করেন।অবশেষে ডাচ জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ার হাইজেন্স মিনিট, সেকেন্ড ও ঘন্টা নির্দেশকারী উন্নতমানের যান্ত্রিক ঘড়ির আবিষ্কার করেন যা পরবর্তীতে আধুনিক ঘড়ি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে ।
এ প্রযুক্তির ব্যবহার দিনদিন কমতে সুরু করেছে ।
একুশে সংবাদ //এস.এন // ২৪.০৬.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :