টানা চতুর্থ জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশর মেয়েরা
একুশে সংবাদ : দেশ ছাড়ার আগে যখন ফাইনাল খেলার স্বপ্নের কথা বলেছিলেন সালমা খাতুন, বাংলাদেশ অধিনায়কের কথায় ভরসা করার লোক কমই ছিল।
কিন্তু দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় সেই দলই পা রাখল স্বপ্নের মঞ্চে। টানা চতুর্থ জয়ে মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথমবার ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের মালয়েশিয়াকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন। ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে মালয়েশিয়াকে ১৩১ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও আয়েশা রহমান ৫৯ রানের জুটি গড়ে ভালো শুরু এনে দিলেও ১০ম ওভারের শেষ বলে ৩১ রানে ফিরে যান ডানহাতি আয়েশা।
১৬ তম ওভারের তৃতীয় বলে ৭ রান করা ফারজানা হক ও একই ওভারে শেষ বলে ৪৩ রানে আউট হয়ে ফেরেন শামিমা।
শেষ দিকে সানজিদা ইসলাম (১৫) ও ফাহিমা (২৬) খাতুনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন। মাত্র ১২ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস খেলেন ফাহিমা।
২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের সঙ্গে এক বলে ২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন জাহানারা আলম।
স্বাগতিক বোলারদের হয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন উইনি ফ্রেড দুরাইসিংহাম। শাশা আজমিন নেন একটি উইকেট। রান আউট হয়ে ফেরেন এক জন।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মালয়েশিয়ার। দলীয় মাত্র ৭ রানেই ওপেনার ক্রিস্টিনা বারেতকে (২) বোল্ড করে ফেরান জাহানারা।
দলের স্কোরে আর ১০ রান যোগ করতেই আরেক ওপেনার ইউসরিনা ইয়াকুপ (১১) ফেরেন রান আউট হয়ে।
মাস এলিসা কিছুটা রানের চাকা সচল রাখলেও, ১৪ রানে রুমানা আহমেদের বলে এলবিউ ডব্লিওর ফাঁদে পড়ে বিদায় হন। একদিকে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও অন্য প্রান্ত আগলে থাকেন উইনিফ্রেড ডুরাইসিংঘাম। তবে অনেকক্ষন চেষ্টা করে মাত্র ১৭ রান তুলতেই রুমানার বলে জাহানারার হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন।
এরপর অবশ্য আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে তিন উইকেট তুলে নেন রুমানা। এছাড়া জাহানারা, সালমা, কুবরা ও নাহিদা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় ভারত। রবিবার ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এর আগে, এই টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর টানা তৃতীয় ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। শক্তিশালী পাকিস্তান ও ভারতকে হারানোর পর বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় সালমা বাহিনী।
একুশে সংবাদ // এস.র.ন // ০৯.০৬.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :