রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের দমদমার ব্রিজে একাধিক ফাটল
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : যে কোনো মুহূর্তে সারাদেশের সাথে রংপুর বিভাগের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে যেতে পারে। ঝুঁকিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের দমদমার ৪৮ বছরের সেই পুরাতন ও অধিক ব্যস্ততম ব্রিজ।
এ ব্রিজে ধরেছে একাধিক ফাটল। নিচে ভর্তি বালির বস্তা ঠেস দেয়া শেষ হতে না হতে দেখা দিয়েছে একাধিক ফাটল। যে কোন সময় ভেঙে যাওয়ার আশংকায় ব্রিজটি ফাটলের স্থানে লাল রং দিয়ে তীর চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন সারাদেশের সকল জেলার হাজার হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করে। ব্রিজটি ভেঙে পড়লে যেকোনো মুহূর্তে রংপুর বিভাগ ও উত্তরাঞ্চলের সাথে রাজধানীসহ সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
দুর্ভোগে পড়বে উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রংপুরের দমদমা ব্রিজটিতে ফাটল দেখা দিলে টেন্ডারের আহবান করে সড়ক বিভাগ। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করেন। দু’মাস সময়ে বালি ভর্তি বস্তা ঠেস দেয়া কাজ সম্পন্ন করে মার্চ মাসে।
৩২নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নুরুল আবছার দুলাল জানান, বন্যায় এ সব বস্তা সরে গেলে এই ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ব্রিজে ফাটল বন্ধ করার জন্য দায়সারা কাজ করছে সড়ক বিভাগ। কাজ শেষ হতে না হতে আবারো দেখা দিয়েছে ফাটল। ব্রিজের নিচে সারি সারি বস্তা ভর্তি বালু দিয়ে ঠেস দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ঝুঁকিপর্ণ এই দমদমা ব্রিজটির ফাটল মেরামতের জন্য ২৩ লাখ টাকার কাজ করছে সড়ক বিভাগের ঠিকাদার। বস্তা ভর্তি বালু ও ট্রাকে দিয়ে মাটি ফেলে ফাটল বন্ধ করা হয়েছে।
ঠিকাদারের এই কর্মচারীরা স্বীকার করে বলেন, ব্রিজের ফাটল দেখা দেয়ায় কাজটি টেন্ডারে মাধ্যমে পেয়েছি। আর যেভাবে কাজের চাহিদা দেয়া হয়েছে, সেভাবে কাজ করা হয়েছে।
সওজ সড়ক বিভাগ রংপুর এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন ব্রিজটি মেরামতের জন্য ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। সে কাজ শেষ করেছে ঠিকাদাররা। তবে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডারে আহবান করা হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব জানিয়েছেন, সড়ক বিভাগের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত ব্রিজের মেরামতের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ // এস.রুবেল// ১৯.০৫.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :