তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করতে হবে : মোস্তাফা জব্বার
একুশে সংবাদ : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ‘ক্রাশপ্রোগামের’ মাধ্যমে তরুণসমাজকে উপযোগী করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
আমরা তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বকারি দেশ হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ২০২০ সালে সারা পৃথিবী ৫জিতে প্রবেশ করবে। এ থেকে বাংলাদেশকে পিছিয়ে থাকতে দেয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে।
আমাদের এই অর্জন ধরে রাখতে পারলে ২০২১ সালের বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের, ২০৩০ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত এবং ২০৪১ সালে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে বাংলাদেশ। লক্ষ্য অর্জনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমাদের এই অগ্রযাত্রা বেগবান করতে তরুণ সমাজকে উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকার গুলশানে এক হোটেলে জেসিআই বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ইয়থ ইন ন্যাশন বিল্ডিং’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বেসিস পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জেসিআই প্রেসিডেন্ট মার্ক ব্রিয়ান লিম, ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ফায়েজ আতিকুল ইসলাম, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির এবং এসএসএল ওয়্যারলেস কর্মকর্তা আশিষ চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি, সামনের চ্যালেঞ্জ অনেক কঠিন। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কেবল সরকার নয়, সরকারের সাথে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
জনাব মোস্তাফা জব্বার তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্ভাবন বিকাশে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বর্ণনা দিয়ে বলেন, আইসিটি বিভাগ কেবলমাত্র প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ৫টি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। পাশাপাশি বিআইটিএম ১৬ হাজার জনের প্রশিক্ষণ প্রদান শেষ করেছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ২৩ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদানে সক্ষম হবে। সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করলে একবিংশ শতাব্দির উপযোগী জনশক্তি গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে। তিনি আইসিটি বিষয়ক প্রকল্পসমূহ আরও কার্যকর ও ফলপ্রসূ করে ঢেলে সাজানোর প্রয়োনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি পৃথিবীকে একটি স্তর থেকে নতুন একটি স্তরে নিয়ে যাবে। কাজেই আমাদেরকে দেখতে হবে প্রচলিত শিক্ষা আসন্ন নতুন স্তরে উপনীত
পৃথিবীর জন্য কিংবা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী শিক্ষা কীনা । বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৪ জি যুগে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৫জি সর্বত্র যুক্ত হতে চলেছে। ৫জি পৃথিবীতে আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। চলতি জুন মাসে বাংলাদেশ ৫জি ট্রায়েল দেখবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ২৪.০৩.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :