মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
একুশে সংবাদ : মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিউ পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মাথায় তিনি পদত্যাগ করলেন। আজ বুধবার তার কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে কী কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন তা জানানো হয়নি। তবে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্রাম নিতে চান।
সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হওয়া না পর্যন্ত দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকবেন।
বেশ কিছুদিন যাবত ৭১ বছর বয়সী থিন কিউ স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে খুব দুর্বল অবস্থায়।
২০১৬ সালে ঐতিহাসিক এক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন থিন কিউ। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে চলা সেনা শাসনের অবসান হয়। তবে সেটিকেও কাগজে শুধু কলমে অবসান বলে মনে করা হয়।
সেই অর্থে প্রেসিডেন্ট হিসেবে থিন কিউ'র তেমন কোনো ক্ষমতা ছিল না।
দীর্ঘ দিনের বিরোধী নেত্রী অং সাং সু চি'কে বলা হতো 'ডি ফ্যাক্টো' নেতা।
তবে তার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নেয়ার ক্ষেত্রে অং সাং সু চি'র উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
দেশটির সংবিধানে এমন একটি ধারা রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, বার্মিজ কারো সন্তান যদি অন্য দেশের নাগরিক হন তাহলে তিনি এমন দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
অনেকেই মনে করে মিজ সু চি কে এমন ক্ষমতা থেকে দুরে রাখতেই ইচ্ছা করে সংবিধানে এমন ধারা রাখা হয়েছে।
সু চি একজন সাবেক ব্রিটিশ নাগরিকের সাথে বিবাহিত ছিলেন এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
থিন কিউ ছিলেন সু চি'র দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধ ও উপদেষ্টা। তিনি সবসময় কথা খুব কম বলতেন।
একুশে সংবাদ // এস.সানি // ২১.০৩.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :