কাপাসিয়ার ধাঁধার চর-যেন এক সৌন্দর্যের গোলক ধাঁধা
গাজীপুর প্রতিনিধি : ঐতিহ্যবাহী নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর ফাইভ স্টার ফ্রেন্ডস এর শাখার সাথে ২০ জন ভ্রমণপিপাসু নিয়ে ৮মার্চ বৃহস্পতিবার নদীর প্রেমে নৌপথে ছুটে চলি ঢাকার পাশেই গাজীপুরের কাপাসিয়া ধাঁধার চরে। বহুদিন আগেই নাম শুনে তার বুকে পা রাখার ইচ্ছে জাগে মনে। সাত সকালে বের হয়ে শ্রীপুরের বরমী থেকে কাপাসিয়ার রানীগঞ্জ শীতলক্ষ্যার জলে নেচে গেয়ে পৌঁছাই বেলা ২.৩০ মিনিটে।
শ্রীপুর ফাইভ স্টার ফ্রেন্ডস এর আয়োজনে সারাটা দিন ছিলো মন মাতানো গানের আয়োজন,চরে যাওয়ার পর হৈ চৈ করে শুরু হয় ফুটবল খেলা,নদীতে সাতার কাটার উল্লাস মেতে উঠেন সবাই,সব শেষে চলে পুরুষ্কার বিতরনের পর্ব,এসময় উপস্থীত ছিলেন শ্রীপুর ফাইভ স্টার ফ্রেন্ডস ক্লাবের এর প্রতিষ্টাতা ও সাংবাদিক টি.আই সানি নোমান গ্রুপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফেজ শামীম আহম্মেদ মৃধা,ফয়সাল মৃধা,ফজলুল হক মৃধা,সাদ্দাম মৃধা,সিডেফ মানবাধিকার সংস্থা গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি মোকছেদুর রহমান আসিফ,সাধারন সম্পাদক আবু হানিফ,সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম আকাশ,আশিকুর রহমান সবুজ,জহিরুল ইসলাম,মুজাহিদুল ইসলাম,শেখ ছফির আহম্মেদ সাগর,আব্দুর রহিম প্রমুখ।
গাজীপুরের কাপাসিয়ার কাছে ব্রহ্মপুত্র নদ আর শীতলক্ষা নদীর মোহনায় দ্বীপের মতো এ চর। প্রায় দু’শ বছর আগে জেগে ওঠা নৌকা আকৃতির এ চরের নাম দেওয়া হয়েছে “ধাঁধার চর”। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা আর জীববৈচিত্রের এ ধাঁধার চর মনোরম পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে এমনটি মনে করেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
নদীর দু-কূলের বীজতলার সবুজ আর নানা বর্ণ ধারণ করা সবজি¦ ক্ষেতের ভিতর দিয়ে উঠি চরের বুকে। বরই বাগান, পেয়ারা বাগান, কলা, মূলা, সরিষা, মিষ্টি আলু সহ নানা রকম ফল-মূল আর সবজি¦ দেখে মনে হলো কৃষকের স্বর্গ রাজ্য। এ যেন এক ভিন্ন জগৎ, সবুজের মাঝে একখন্ড দ্বীপ। শীতলক্ষ্যার বুকে অপার সম্ভাবনা নিয়ে জেগে উঠা প্রকৃতির এক অপরূপ নিদর্শন।
সত্যিই ধাঁধার চর যেন সৌন্দর্যের গোলক ধাঁধা। স্থানীয়রা অনেকে এটাকে মাঝির চর নামেও ডাকে।
যে ভাবে যাবেন ঢাকার মহাখালী হতে ভাওয়াল পরিবহনে কাপাসিয়ার রানীগঞ্জ বাজার। এছাড়া গুলিস্থান থেকে প্রভাতি বনশ্রীতে কাপাসিয়া বাজার, সেখান থেকে সিএনজি বা অটোতে রানীগঞ্জ বাজার। খেয়াঘাট থেকে ইঞ্চিন নৌকায় ধাঁধার চর ।
মোট কথা গাজীপুর চৌরাস্তা বা রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা অথবা কাপাসিয়া বাজার আসলে সহজেই চলে যাবেন ধাঁধার চর। তবে এসব এলাকাতেই দুপুরের খাবার জোগার করে নেওয়া ভাল। প্রাইভেট কার বা মোটর সাইকেল হলে তো কথাই নেই। দিনে আসবেন দিনে যাবেন। রাতে থাকলে সস্তায় হোটেল পাবেন গাজীপুরেই।
ভ্রমনপ্রেমীরা জীবনের একটি দিন এই নদীর বুকেই জেগে ওঠা টাইটানিকের বুকে উৎস্বর্গ করতে পারেন। ধাঁধার চরে এখনও সেভাবে পর্যটকদের পদচারণা নেই সুতরাং ভালো হবে যদি স্থানীয় কাউকে সঙ্গে রাখেন । তাতে ঘুরে বেড়ানো যথেষ্ট নিরাপদ।
একুশে সংবাদ // এস. সানি // ১০.০৩.২০১৮
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :