AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বেনাপোল সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ উদ্বোধন


Ekushey Sangbad

১১:০৪ এএম, মার্চ ১০, ২০১৮
বেনাপোল সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ উদ্বোধন

একুশে সংবাদ : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮.৩ (আট দশমিক তিন) কিলোমিটার এলাকা প্রথমবারের মতো ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ বা অপরাধমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে যশোরের বেনাপোল সীমান্তের বিপরীতে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁও সীমান্তে ৬৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাল্যানী বিওপি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় উক্ত 'ক্রাইম ফ্রি জোন' উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যশোর-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব শেখ আফিল উদ্দিন, ভারতের লোকসভার মাননীয় এমপি (বনগাঁও) শ্রীমতি মমতা ঠাকুর , পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক (বনগাঁও-উত্তর) শ্রী বিশ্বজিত দাস, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, বিএসপি, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি, পি ইঞ্জ.,বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা, আইপিএস, বিজিবি ও বিএসএফ এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উভয় দেশের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।   উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের কৌশল হিসেবে সীমান্তের অপরাধ প্রবণ এলাকা ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।   বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা উক্ত প্রস্তাবের প্রশংসা করেন এবং ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।   এরই ধারাবাহিকতায় উভয় দেশের সম্মতিতে বাংলাদেশের যশোর সীমান্তের পুটখালী ও দৌলতপুর বিওপি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এবং বিপরীত দিকে ভারতের কাল্যানি ও গুনারমঠ বিওপি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার (বর্ডার পিলার নম্বর ১৭/১৪৩-আর হতে ১৭/১৮১-আর পর্যন্ত) মোট ৮.৩ কিলোমিটার সীমান্ত পরীক্ষামূলকভাবে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করা হয়।   বিজিবি ও বিএসএফ এর সর্বাত্নক প্রচেষ্টা, পারস্পরিক সহযোগিতা ও উদ্যোগের ফলে উক্ত সীমান্ত এলাকা ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে।   ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষিত সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে কার্যকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিজিবি’র উদ্যোগে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকারের বর্ডার সার্ভেইল্যান্স ডিভাইস যেমন-ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, সার্চ লাইট, থার্মাল ইমেজার ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। একইসাথে বিজিবি’র উদ্যোগে সীমান্তে অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।   ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ এর মধ্যে আন্ত:সীমান্ত অপরাধ যেমন-চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার, মানব পাচার, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে সংঘটিত না হয় সে লক্ষ্যে বিজিবি ও বিএসএফ পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি বলবৎ রাখবে।   এছাড়া নিজ নিজ দেশের স্থানীয় প্রশাসন এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের সহযোগিতায় সীমান্ত অপরাধে জড়িতদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের যথাসাধ্য ব্যবস্থা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সীমান্তের অন্যান্য এলাকায় ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ ঘোষণার লক্ষ্যে বিজিবি ও বিএসএফ সমন্বিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ৷   একুশে সংবাদ // এস.ইয়ানূর // ১০.০৩.২০১৮
Link copied!