AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিস্ময়কর হলেও সত্য এক বাড়িতেই অর্ধশত মৌচাক


Ekushey Sangbad

০১:১০ পিএম, মার্চ ৪, ২০১৮
বিস্ময়কর হলেও সত্য এক বাড়িতেই অর্ধশত মৌচাক

আত্রাই (নওগাঁ) : বিস্ময়কর হলেও সত্য নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ছোট্ট একটি ফ্লাট বাড়ির চারিপাশ জুড়ে রয়েছে মৌমাছির অর্ধশত মৌচাক। এ বাড়িটিকে ঘিরে প্রতি মুহুর্ত হাজার হাজার মাছির আনাগোনা। মৌমাছিগুলো আবার আপন মনে মধু সংগ্রহ করে ফিরছে চাকে। বাড়ির মালিক বা প্রতিবেশিদের কাউকেই ক্ষতি করে না। গোটা বাড়ি জুড়েই মৌমাছির সমারাহো। এ যেন মৌমাছিদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে বাড়িটি এলাকার মানুষের কাছে মৌমাছির বাড়ি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।   নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের আহমাদ আলীর বাড়ির ছাদ ও দেয়ালে প্রায় অর্ধ শতাধিক মৌমাছির চাক বসেছে। এসব মৌমাছি চাষ করা নয়, প্রাকৃতিকভাবেই চাক বসিয়ে বাড়িটিতে বাসা করে নিয়েছে মৌমাছিরা। এসব চাক থেকে বাড়ির মালিক দীর্ঘদিন ধরে মধু সংগ্রহ করে আসছেন। একতলা বিশিষ্ট বাড়ির নিচের ছাদের কার্ণিশ জুড়ে সারিবদ্ধ ভাবে মৌচাকগুলো সাজানো। প্রথমে দেখলে মনে হবে কোন নিপুন হাতের কারুকার্য্য।   এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মো: আহমাদ আলী জানান, প্রায় তিন চার বছর ধরে তার বাড়িতে এরকম মৌমাছির চাক রয়েছে। তবে সরিষা মৌসুমে চাকের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এসব মৌচাক থেকে শুধু সরিষা মৌসুমেই মধু সংগ্রহ করা হয় দুইবার। প্রতিবার প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি করে মধু সংগ্রহ করা হয়।। বৈশাখ ও জৌষ্ঠের খরতাপে ফুল ও পানি সল্পতার কারণে ৮ থেকে ১০টি মৌচাক থাকে। আষাড় ও শ্রাবন মাস আসলে আবারো ২০ এর অধিক মৌচাকের সংখ্যা বেড়ে যায় বলে জানালেন আম্মাদ আলী।   তিনি আরো জানান, মধু সংগ্রহ ও সংরক্ষণের বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ না থাকায় ভালোভাবে মধু সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। তবে মৌমাছি পরিচর্যা, মধু সংগ্রহ ও সংরক্ষণ বিষয়ে জানতে পারলে আরও বেশি পরিমাণে মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি মনেকরেন। বিষয়টি সম্পর্কে এখনও কৃষি বিভাগের কেউ জানে কি না তাও জানা নেই তার।     এ ব্যাপারে আহমাদ আলীর স্ত্রী ছেলিনা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি মধু আহরণের জন্য ছুটে যায় আবার মধু নিয়ে চাকে ফিরে আসে। এ সময় সারা বাড়ি মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে ওঠে। শুধু ঘরের বাহিরে না ঘরের ভিতরেও মৌমাছিরা বাসা বসতে চায়। কিন্তু বাচ্চাদের হুল ফোটাতে পারে এমন আশংকায় আমরা বসতে দিই না। তা নাহলে হয়তো গোটাবাড়িই মৌচাকে ভরে যেতো। তিনি আরো বলেন, মৌমাছির এ মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য দেখতে তাদের বাড়ির প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছে।     এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাউছার হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও মৌমাছিদের জায়গা দিতে পারলে ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হবেন আহমাদ আলী এমনটিই মনেকরেন এই কর্মকর্তা।         একুশে সংবাদ // এস.নাহিদ // ০৪.০৩.২০১৮
Link copied!