রাম রহিমের কাণ্ড দেখে ফুঁসছে বাকি বন্দিরা
একুশে সংবাদ : ধর্ষণে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু বাবা রাম রহিমকে কি রোহতকের জেলে জামাই আদর করা হচ্ছে? জেলের অন্য বন্দিদের কাছে উত্তরটা ‘হ্যাঁ’! তবে হরিয়ানার কারামন্ত্রী স্রেফ উড়িয়ে দিচ্ছেন এমন দাবি। তবে ঘটনাপ্রবাহ কিন্তু সেরকমই।
সম্প্রতি রোহতকের জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন রাহুল নামের এক ব্যক্তি। তিনি সংবাদসংস্থার কাছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছেন। কী বলেছেন তিনি? ‘‘রাম রহিমকে জেলে আনার পর নতুন অনেক নিয়ম আরোপ করা হয়েছে। জেলের অন্যান্য বন্দীরা এখন মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। আমরা কেউই ওনাকে দেখতে পাইনি। তবে শুনেছি ওনার কথা।’’
প্রকাশ্যে এল হানিপ্রীতের সম্পত্তির পরিমাণ, তাজ্জব মিডিয়া
মুখে বলছে, ‘পালিতা কন্যা’! কিন্তু বাবার জন্য এ কী করল হানিপ্রীত
ধর্ষণের দায়ে জেলে, তবু ধর্ষিতাদের ছাড়ছে না রাম রহিম
এর পরে আরও বিধ্বংসী ভঙ্গিতে তিনি বলেন, অন্য বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে আসা ভিজিটরদের ক্ষেত্রে যেখানে মাত্র ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা থাকে, সেখানে ওঁর সময় বাড়িয়ে দু-ঘণ্টা করে হয়েছে। সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও দেরা সৌদার প্রধান রাম রহিম বেশ আয়েশেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি। কোনও কাজ না করেই শুয়ে বসে থাকছেন এই ধর্মগুরু।
যদিও রাহুলের এমন দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হরিয়ানার কারামন্ত্রী কিষান লাল পানওয়ার। তিনি সাফ বলে দিয়েছেন, কোনও ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না রাম রহিমকে। তিনি বলেছেন, ‘‘জেলের অন্য সাধারণ বন্দিদের মতোই রাখা হচ্ছে তাঁকে। বিভিন্ন ব্যারাকের মধ্যে বেশ দূরত্ব রয়েছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করাও সম্ভব নয়। তাই অন্য কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় রাম রহিমের বিষয়ে। সুতরাং ওর বক্তব্য মোটেও সঠিক নয়।’
ধর্ষণে অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে রাম রহিমকে।
সূএ : এবেলা
একুশে সংবাদ // এস.এলা// ১৯.১১.২০১৭
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :