একনজরে বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবি :ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) একটি বাগানে প্রবেশ করলেন। আমাকে বাগানের দরজায় পাহারা দেয়ার কথা বললেন। সে সময় একজন লোক এলেন এবং অনুমতি চাইলেন। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসংবাদ দাও।’ তিনি ছিলেন আবু বকর (রা.)। এরপর ওমর (রা.) এলেন। রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসংবাদ দাও।’ এরপর ওসমান (রা.) এলেন এবং অনুমতি চাইলেন। রাসুল (সা.) বললেন, ‘অনুমতি দাও এবং জান্নাতের সুসংবাদ দাও।’ (বোখারি : ৬৭৩০)।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘...এবং ওমর জান্নাতি।’ (মুসনাদে আহমদ : ১/১৮৭; আবু দাউদ : ৪৬৫০)।
পূর্ণনাম : ওমর ইবনুল খাত্তাব।
উপনাম : আমিরুল মুমিনিন, ফারুক।
জন্মগ্রহণ : ৫৭৭ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কোরাইশ বংশের ‘বনু আদি’ গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন।
জন্মস্থান : মক্কা, আরব উপদ্বীপ।
বাবা : খাত্তাব ইবনে নুফায়েল।
মা : হানতামাহ বিনতে হিশাম।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ : ওমর (রা.) ৬১৬ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। তখন তার বয়স ছিল ৩৯ বছর।
ইসলাম ধর্মে তার কিছু অবদান
- ওমর (রা.) ছিলেন প্রধান সাহাবিদের অন্যতম। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। আবু বকর (রা.) এর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন।
- ‘আমিরুল মুমিনিন’ উপাধিটি সর্বপ্রথম তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে।
- ওমর (রা.) ইসলামী আইনের একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ ছিলেন। ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার কারণে তাকে আল ফারুক (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধি দেয়া হয়।
- ওমর (রা.) এর ইসলাম গ্রহণের পর প্রকাশ্যে কাবার সামনে নামাজ আদায় করতে মুসলিমরা বাধার সম্মুখীন হননি। ইসলাম গ্রহণের পর গোপনীয়তা পরিহার করে প্রকাশ্যে তিনি মুসলিমদের নিয়ে বাইরে আসেন এবং কাবা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। সেদিন মুহাম্মদ (সা.) তাকে ‘ফারুক’ উপাধি দেন।
- ওমর (রা.) এর অন্তর ও কথা অনুযায়ী ওহি অবতীর্ণ হয়েছিল।
- ওমর (রা.) এর কাছে যা ইলহাম হতো, তা আল্লাহর সিদ্ধান্তে হতো।
- ওমর (রা.) এমন ব্যক্তিত্ব, শয়তানও তাকে ভয় পেত। দ্বীনের বিষয়াবলিতে ওমর (রা.) ছিলেন বেশ কঠোর।
শাসনকাল : ২৩ আগস্ট ৬৩৪ থেকে ৩ নভেম্বর ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ।
ইন্তেকাল : ৩ নভেম্বর ৬৪৪ (২৬ জিলহজ, ২৩ হিজরি)।
সমাধি : রাসুল (সা.) এর সমাধিস্থলের পাশে।
একুশে সংবাদ // এস.আলো // ১৬.১১.২০১৭
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :