চার উইকেটে জয় পেল ঢাকা ডায়নামাইটস
একুশে সংবাদ : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দ্বিতীয়বারের মত মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস ও খুলনা টাইটান্স। প্রথম দেখায় খুলনার বিপক্ষে ঢাকা ১৩৭ রানের বড় জয় পেয়েছিল। আর শেরেবাংলায় দ্বিতীয় দেখায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকার অধিনায়ক সাকিব। ফলে ব্যাটিং করার সুযোগ পায় খুলনা টাইটান্স। ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা টাইটান্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। ফলে এ ম্যাচে জয় পেতে হলে ডায়নামাইটসের টার্গেট দাঁড়ায় ১৫৭ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষ হবার ১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌছে ঢাকা ডায়নামাইটস। এজন্য হারাতে তাদের হয় ছয়টি উইকেট। ফলে এ ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটস চার উইকেটে জয় পায়।
দলীয় ২৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে তখন খুবই বিপদে ঢাকা ডায়নামাইটস। বলা যায় এক রকম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তখনই ব্যাট হাতে মাঠে নামেন জহুরুল ইসলাম। ক্রিজে তাঁর সঙ্গী ক্যারিবীয় মারকুটে ব্যাটসম্যান কিয়েরন পোলার্ড। মাঠে এসেই পোলার্ড যখন ব্যাটিং তাণ্ডব চালালেন, তখন অন্যপাশ আগলে রাখেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই ব্যাটসম্যান। শেষ দুই বলে দলের যখন প্রয়োজন ৪ রান তখনই অবিশ্বাস্য একটি শট খেলে ঢাকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।
জহুরুলের ভাষায়, শেষ ওভারে গ্যাম্বলিংয়ের মতো করে চিন্তা করার কারণেই দলকে এই জয় এনে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া শেষ দিকে তিনি নিজেই নাকি দলকে কিছুটা বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। পরে তিনি নিজেই আবার উদ্ধার করেন।
বিপিএলে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দলের দরুণ জয়ে অবদান রাখতে পেরে দারুণ খুশি জহুরুল। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'শেষ ওভারে জয়ের জন্য আমাদের প্রয়োজন ছিল ছয় বলে ৬ রান। প্রথম দুই বলে দুটি চার মারতে গিয়ে দলকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছিলাম। পরে আমি চিন্তা করলাম গ্যাম্বলিংয়ের মতো করে কিছু একটা করার। ওভারের পঞ্চম বলে আমি সফলও হয়েছি রিভার্স স্কুপে চার মেরে। শেষ পর্যন্ত খেলে দলকে দারুণ একটি জয় এনে দিতে পারাটা আমার জন্য সত্যিই ভালোলাগার।'
ঢাকা ডায়নামাইটসে তারকার ভিড়, এমন দলের একাদশে সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরার আকাঙ্ক্ষা ছিল এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের মধ্যে, 'দলে বিদেশি যাঁরা আছেন, তাঁরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খুবই ভালো খেলোয়াড়। এঁদের টপকে স্থানীয়দের সুযোগ পাওয়া কঠিন। আজ আগে নামার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ ছিল। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারাটাই আমার জন্য আনন্দের।
এই ম্যাচে খুলনা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৫৬ রান করে। জবাবে ঢাকা শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও পরে জহুরুল ও পোলার্ডের দৃঢ়তায় জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। জহুরুল হার-না-মানা ৪৫ রান করেন। আর পোলার্ড ৫৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন।
একুশে সংবাদ // এস.এন // ১৪.১১.২০১৭
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :