AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

১০ জনের ৯ জনই বাঁচবে টাইফয়েডের নতুন টিকায়!


Ekushey Sangbad

১২:৩৭ পিএম, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
১০ জনের ৯ জনই বাঁচবে টাইফয়েডের নতুন টিকায়!

একুশে সংবাদ : টাইফয়েড এমন এক জ্বর, যার নাম শুনলেই অনেকের জ্বর এসে যায়। এই জ্বর প্রতিরোধ ও নিরাময়ে মানুষের চেষ্টার শেষ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) টাইফয়েডের একটি নতুন টিকা সুপারিশ করেছে, যে টিকা প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকর। অর্থাৎ, এই টিকা গ্রহণকারী প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনই টাইফয়েড জ্বরের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টিকা টাইফয়েড জ্বর মোকাবিলায় ‘বিরাট প্রভাব’ ফেলবে। প্রতিবছর ২ কোটি ২০ লাখ লোক টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় ২ লাখ ২০ হাজার। টাইফয়েড সংক্রমণের উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। নতুন এই টিকার গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এটি শিশুদের দেওয়া যায়। বর্তমানে টাইফয়েডের দুটি টিকা অনুমোদিত রয়েছে। এই টিকা দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের দেওয়া যায় না। কিন্তু নতুন টিকাটি ছয় মাস বয়সী শিশুদের দেওয়া যায়। এই টিকা ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে টাইফয়েড নির্মূলে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। টাইফয়েড জ্বরের কারণ সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যকটেরিয়ায় সংক্রমিত ব্যক্তি দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে। টাইফয়েডে আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে একজন মারাত্মক জটিলতায় পড়ে। এই সালমোনেলা টাইফি ব্যকটেরিয়া অত্যন্ত সংক্রামক এবং দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে—এমন অঞ্চলে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকায় সচারচর এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সংক্রমণ ঠেকাতে টাইফয়েডের দুটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোটিই দুই বছরের শিশুদের দেওয়ার অনুমোদন নেই। নতুন টিকাটি তৈরি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টস অন ইম্যুনাইজেশন (এসএজিই)। এসএজিইর চেয়ারম্যান প্রফেসর আলজান্দ্রো ক্রেভিয়েতো বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো আমি মনে করি, আমরা খুবই কার্যকর টিকা পেয়েছি।’ ক্রেভিয়েতো বলেন, এই টিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, টাইফয়েডের ‘বিপুলসংখ্যক’ জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় বর্তমানে এই রোগের প্রচলিত চিকিৎসা ‘শেষ সীমায়’ পৌঁছে গেছে। এই টিকার ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চালায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। পরে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন গত মাসে প্রকাশিত চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে। ‘চ্যালেঞ্জপূর্ণ এই পরীক্ষায়’ ১১২ জনকে টিকা দেওয়া হয় এবং পরে তাঁদের শরীরে টাইফয়েডের জীবাণু সংক্রমিত করা হয়। এতে দেখা যায় টিকাটি ৮৭ শতাংশ কার্যকর। পরীক্ষাটি পরিচালনকারী প্রফেসর অ্যন্ড্রিউ পোলার্ড বিবিসিকে বলেন, ‘টাইফয়েড প্রতিরোধে এই টিকা বিরাট প্রভাব ফেলবে।’ একুশে সংবাদ // এস.আলো //২৫.১০.২০১৭
Link copied!