নির্যাতিত নিপিরিত মানুষের লেখক র্যাক লিটন
ডেস্ক রিপোট –আশরাফুল আলম : কথা সাহিত্যিক র্যাক লিটন, একজন নবীন লেখক। এ পর্যন্ত তাঁর তিনটি উপন্যাস অমর একুশে বই মেলার মাধ্যমে প্রসিদ্ধ প্রকাশনী অঙ্কুর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর তিনটি উপন্যাস পর্যায়ক্রমে দহনেসুখ, সেলাই আপা এবং অপরাহ্নে বিসর্জন।
কথা সাহিত্যিক লেখক র্যাক লিটন বলেন--
দহনে সুখ উপন্যাসটি মূলত তৃতীয় লিঙ্গ হিজরাদের নিয়ে লেখা। লেখক হিজরাদের নাগরিকত্ব কেন দেয়া হয়নি, কেন তারা আজ দেশে বাসকরেও দেশের নাগরিক নয় উক্ত বিষয় গুলি নিয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন।উপন্যাসটি ২০১৩ সনে প্রকাশিত হয়। খুবই আনন্দের বিষয় যে, ২০১৩ সনেই সরকার হিজরাদের নাগরিকত্ব প্রদান করেন।
সেলাই আপা উপন্যাসটি মূলত বাংলাদেশের বর্তমান মেরুদন্ড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ এর শ্রমিকদের জীবন কাহিনী এবং তাদের অতিত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত বিষয় গুলির উপর বিশেষ আলোকপাত করেছেন।
অপরাহ্নে বিসর্জন উপন্যাসটি লেখকের একটি ব্যতিক্রম ধর্মী উপন্যাস, যেখানে সমাজের একজন ধর্ষিতা বর্তমানকে বিসর্জন না দিয়ে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে সেও যে সমাজে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করেছেন।
লেখকের সাথে কথাবলে জানা যায়, তিনি প্রেমভালবাসার উপরবা শুধুমাত্র আনন্দ দেবার উদ্দেশ্যে লিখেননা। তিনি সমাজের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের উপরভিত্তি করে সমাজের নির্যাতিতদের নিয়ে ভাবেন এবং তাই উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজের মানুষদের কাছে উপহার দেবার চেষ্টাকরেন।
লেখকের সাক্ষাতকারে জানা যায়, তিনি আগামী অমর একুশে বই মেলায় ২০১৮ সালে উপহার দিবেন মঙ্গা উপন্যাস। যেখানে
নদীবিধৌত এলাকার মানুষদের অভাবী জীবনের বিশেষ কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে।বিশেষত কুড়ি গ্রামের তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্ম্রপুত্র নদ বিধৌত এলাকার মানুষদের নিয়েইতার এই লেখার প্রয়াস।তিনি বিশ্বাস করেন অতিতের উপন্যাস গুলিরমত পাঠক সমাজে মঙ্গা উপন্যাসটি ও সমান ভাবে সমাদৃত হবে।
মানবতা ধর্মী লেখক র্যাক লিটন বলেন, পৃথিবীতে অনেক মনিষির নাম শোনা যায়, যাঁরা বর্ণ ভেদাভেদ নিয়েযুদ্ধ করেছেন, অমরওহয়েছেন! অনেকাংশে বর্ণ ভেদাভেদকে ভেঁঙ্গে সবাইকে একই কাতারে আনতে ও পেরেছেন! আমাদের ধারণা বর্ণ ভেদাভেদ করা বড় অন্যায়! কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই কাজের কারণে, অর্থের কারণে, বংশেরউপরভিত্তিকরে উচু বা নিচু ভাবছে এবং একজন আরেক জনকে পদ তলে পিষিয়ে মারছে,যাবর্ণ ভেদাভেদের চেয়ে অনেক বেশী মারাত্বক! আমরা মানুষ! মানুষেই আমাদের পরিচয়, আর কোন পরিচয় দরকার আছে বলেআমার মনে হয়না। আমার বা দু-একজনের মনে হলেই তো সব হয়ে যায় না! আর তাই মানুষ আজ পরিচিতি পাচ্ছেশ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা, মালিক, কৃষক, দিনমজুর, রিস্কাওয়ালা, ভিক্ষুক, ছোট লোক, বড় লোক, কোটি পতি ইত্যাদি ইত্যাদি হিসাবে। যার যত আয়, সে তত সম্মানী। যার পদবী যত বড়, সে তত সম্মানী। এটা হতে পারে না বাহ হওয়া উচিৎ নয়! মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখার জন্যই আমার সকল উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
লেখক র্যাক লিটন তাঁর লেখার জন্য বিভিন্ন সংগঠন থেকে কয়েকবার সম্মাননা পদক পেয়েছেন।
উল্লেখ্য যে লেখকের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। তিনি আট ,ভাই বোনের মধ্যে চতুর্থ। র্যাকলিটন পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি আদমজীইপিজেটএ সুনামধন্য সুয়াদ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এ মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কম্পপ্লাইন্স বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসাবে কর্মরতআছেন। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর, গভীর রাত পর্যন্ত তিনি লিখে যান নির্যাতিত মানুষদের নিয়ে।
একুশে সংবাদ // এস এস // ০৫.১০.২০১৭
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :