শরণার্থী প্রশ্নে ট্রাম্পের কাছে কী আশা করা যেতে পারে: হাসিনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সংক্ষিপ্ত কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সংস্থাটির ৭২তম অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের সমাবেশে তাদের মধ্যে এই আলাপ হয়। এসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসে কুশল বিনিময়ের সময় থেমে যান ট্রাম্প এবং কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
তবে ট্রাম্পের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, ওই বৈঠক পরবর্তী এক সাক্ষাৎকারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা প্রশ্নে ট্রাম্পের মনোভাব খুবই পরিষ্কার। তাই তার কাছে এ ব্যাপারে সহায়তা কামনা করা একেবারে অর্থহীন।
রয়টার্সকে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাক্ষাতে ট্রাম্পের প্রশ্ন ছিলো বাংলাদেশ কেমন আছে? আমার উত্তর ছিলো, দেশ খুব ভালো চলছে। কিন্তু আমাদের একমাত্র সমস্যা রোহিঙ্গা ইস্যুর কথা তুলতেই তিনি কৌশলে তা এড়িয়ে গেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি আর কোনো কথাই বলেন নি।
শরণার্থীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই পরিষ্কার জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো উদ্বাস্তু গ্রহণ করবে না বলে ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সুতরাং সেদেশের প্রেসিডেন্টের কাছে আমি বেশি কিছু প্রত্যাশা করতে পারি না। তাই মিয়ানমার থেকে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিম উদ্বাস্তুদের সহায়তার বিষয়ে তাকে কিছু বলা অর্থহীন।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারকে আরো চাপ দিতে বিশ্বসম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করবেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ধনী দেশ নয়, কিন্তু আমরা যদি ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি তাহলে আরো পাঁচ কিংবা সাত লাখ মানুষের জন্যও আমরা এটা করতে পারব। তবে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে মেনে নিতে হবে যে এসব মানুষ তার দেশের এবং মিয়ানমার তাদের দেশ। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এই মানুষগুলো নিপীড়িত হচ্ছে।’রয়টার্স।
একুশে সংবাদ/ এস এস.ইফা /১৯.০৯.২০১৭
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :