AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে


Ekushey Sangbad

০৪:৪৩ পিএম, আগস্ট ২৯, ২০১৭
শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে

কানতারা কে খান : শ্রাবণের শেষ দিন। প্রতি বছর এমনি করে ঘুরে ঘুরে আসে বাংলা মাসগুলো, আবার চলেও যায়। প্রতিটি বাঙালির জীবনে আষাঢ় শ্রাবণ মানেই বর্ষণমুখর রাত আর দিন। আকাশ যেন আর কিছুতেই বাঁধ মানতে চায় না। শুধু ঝরেই পড়তে চায়। তবে শুধু প্রকৃতিকে দোষ দিয়ে আর কি হবে। সত্যি কথা বলতে, শ্রাবণের এই পড়ন্ত লগ্নে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের কষ্ট আর ভালোবাসাও যে আর বাঁধ মানে না। এমন শোকের দিন, এমন শোকের মাস, নিজেকে এবং নিজের অস্তিত্বকে হারানোর এমন মুহূর্ত, বাঙালির জীবনে বোধ হয় আর কখনো আসেনি। এই মাসেই ৪২ বছর আগে আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের শিকড়কে, আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তিকে, হারিয়েছিলাম আমাদের এগিয়ে যাবার স্পৃহাকে, বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত আমাদের নিজেদের হিমালয়কে, আমার স্বাধীনতার স্বপ্নের রূপকারকে। হারিয়েছিলাম বাংলার মানুষের আশার আলো- বঙ্গবন্ধুকে। কি অদ্ভুত আমরা বাঙালিরা। কতটা স্বার্থপর আমরা। নাকি অজ্ঞতা আমাদের? যে মানুষটা জীবনের ৪৬৭৫ দিন জেলের অন্ধকারে কাটিয়েছে আমাদের জন্য, আমরা তাকে হত্যা করলাম? যেই মানুষটা সারাটা জীবন আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করে গেলেন আমরা তাকে নিঃশেষ করে দিলাম। আজও মনের কাছে প্রশ্ন করি, কেন? সাংবাদিক স্যার ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া ১৯৭২ সালের এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু স্বীকার করেছিলেন যে, তার সবচেয়ে বড় শক্তি, তিনি এদেশের মানুষকে ভালোবাসেন এবং সবচেয়ে বড় দুর্বলতা, তিনি এদেশের মানুষকে একটু বেশি ভালোবাসেন। আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এই বেশি ভালোবাসাটাই বুঝি পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় কাল হয়ে দাঁড়ালো। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু সবার থেকে একটু আলাদাই ছিলেন। তার জীবনী থেকে আমরা বঙ্গবন্ধুর ‌’এক মুখ নানা রূপ’ দেখতে পাই। কখনো ‘সাহসী খোকা, কখনোবা বিদ্রোহী মুজিব, লাখো মানুষের ভালোবাসার বঙ্গবন্ধু কিংবা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা’। সারাটা জীবন তিনি লড়েছেন শুধুমাত্র বাংলার মানুষের অধিকারের জন্য। সেটা স্কুলের ছাঁদ মেরামত এর জন্যই হোক কিংবা নিজের ভাষায় মা ডাকের অধিকারে জন্য; কখনো ছয় দফার দাবি নিয়ে অথবা মুক্তির সংগ্রামের সাহস জুগিয়েছেন তিনি সাত কোটি বাঙালির প্রাণে। স্বাধীনতার জন্য তিনি নিজের জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দিতে কুন্ঠিত হননি। তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু। সাধারণ মানুষের চোখে অসাধারণ একজন ব্যক্তিত্ব। যিনি চাননি কোনো কিছুই নিজের জন্য কিন্তু বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের সবটুকু উজাড় করে মানুষের জন্য। কোনো অবস্থাতেই তিনি মাথা নত করেননি। কখনো লজ্জিত করেননি বঙ্গবন্ধু নিজের দেশকে, দেশের মানুষকে। ১৯৭২ সালের ১oই জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আমরা শুনেছি, মৃত্যু যখন একেবারে দ্বারপ্রান্তে, তখনও বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, একবার মরে ২ বার মরে না।’ তিনি আরো বলেছিলেন, ‘আমার মৃত্যু আসে যদি, আমি হাসতে হাসতে যাবো, আমার বাঙালি জাতিকে অপমান করে যাবো না, তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না। এবং যাবার সময় বলে যাবো- জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’ বঙ্গন্ধুর ভরাট গলায় সেইদিনের এই কথাগুলো গর্বে বুক ফুলিয়েছিলো অসহায় সর্বহারা যুদ্ধবিধ্বস্থ সাত কোটি বাঙালির। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু দেশ গুছাতে মনোযোগ দিয়েছিলেন। গড়ে তুলতে হবে সোনার বাংলা, তৈরি করতে হবে সোনার মানুষ। বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলার কৃষক মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে।’ সোনার বাংলা গড়তে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন তিনি বিশ্বমানবতার কাছে। তবে ভিক্ষা চাননি। সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন, তবে দেশ বিক্রি করেননি কোনোভাবেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তাই প্রথমেই তিনি বাংলার মাটিকে সকল পরাধীনতার বন্ধন থেকে মুক্ত করেছিলেন। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুর অনুরোধেই ১৫ই মার্চ ১৯৭২, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের ২ দিন আগেই দ্রুত সরিয়ে নিয়েছিলেন ভারতীয় সৈন্যবাহিনীকে বাংলাদেশ থেকে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আজও আমরা দেখতে পাই প্রায় প্রত্যেকটি দেশেই এলাইড ফোর্স এর উপস্থিতি। পৃথিবীর যেকোনো দেশের স্বাধীনতায় যখন কোনো ‘এলাইড ফোর্স’ সাহায্য করে, তখন যুদ্ধ শেষে সে দেশ নিজেদের কিছু সৈন্য সবসময় স্বাধীন দেশে দায়িত্বরত রেখে যান। তাকিয়ে দেখি আমরা জাপানে, কোরিয়ায় ও ভিয়েতনামে, মার্কিন সৈন্যদের উপস্থিতি। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা হয়নি, কেননা বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ আগেই বুঝে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে ৫ থেকে ৯ই সেপ্টেম্বর আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে এ ন্যাম সামিট উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সৌদি বাদশাহ ফয়সালের সাক্ষাতের এক পর্যায়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার বিনিময়ে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ‘ইসলামিক রিপাবলিক’ করার কথা বললে, তার উত্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘আপনার দেশের নাম তো বাদশাহ সৌদ এর নামে রাখা হয়েছে তবে আমাকে কেন একটি বিশেষ ধর্মের নামে আমার দেশের নাম রাখার কথা বলছেন? আমার বাংলাদেশে এক কোটিরও বেশি মানুষ অন্য ধর্মের। বঙ্গবন্ধুর শেষ কথা ছিল আমি বিশ্বাস করি ‘লা কুম দি নোকুম ওয়াল ইয়া দিন’ অর্থাৎ ‘তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার’।’ এই ছিলেন আমাদের জাতির পিতা, যিনি প্রকৃত ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করতেন। বিশ্বাস করতেন মানবতার ধর্মে। বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ছিল প্রবল। ১৮ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের পরে ২৪ শে সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে যোগদান করেন। তিনিই প্রথম যিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলা ভাষাকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করেননি, তার সঙ্গে সঙ্গে সম্মানিত করেছেন সকল ভাষা সৈনিক ও বাঙালিকে যারা লড়েছেন এই ভাষার জন্য। যেই বাঙালিকে বঙ্গবন্ধু এতো ভালোবাসতেন, সেই বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে চেনেনি, তবে চিনেছিল বিশ্বনেতারা। সদ্যপ্রয়াত ভারতীয় বিজ্ঞানী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালাম এর ভাষায় বঙ্গবন্ধু নিজেই ছিলেন ঐশ্বরিক আগুন এবং তিনি নিজেই সে আগুনে ডানাযুক্ত করতে পেরেছিলেন।’ বিলেতের মানবতাবাদী আন্দোলনের প্রয়াত নেতা মনীষী লর্ড ফেনার ব্রকওয়ে বলেছিলেন, ‘জর্জ ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী, ডি ভ্যালেরার চেয়েও শেখ মুজিব এক অর্থে বড় নেতা।’ যুক্তরাষ্টের নিউজউইক পত্রিকা লিখেছিল ‘শেখ মুজিব রাজনীতির কবি (পোয়েট অফ পলিটিক্স) ।’ বিদেশি সাংবাদিক সিরিল ডান এর ভাষায়, ‘বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে শেখ মুজিবই একমাত্র নেতা যিনি রক্তে, বর্ণে, ভাষায়, কৃষ্টিতে এবং জন্মসূত্রে ছিলেন খাঁটি বাঙালি।’ ন্যাম সামিটে ফিদেল কাস্ত্রোর সেই ঐতিহাসিক তুলনা আজও আমাদের গর্বিত করে যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখেনি। কিন্তু আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতন। তার মধ্যেই আমি হিমালয়কে দেখতে পেরেছি।’ দুর্ভাগ্য বাঙালি জাতির। আমরা আমাদের হিমালয়কে হারিয়েছি আমাদেরই দেশের কতিপয় হায়নার হাতে। তবে আজ তার চেয়েও বেশি কষ্ট হয়, যখন আমরা দেখি যে, ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এমন কিছু মানুষের হাতে যারা মানবতা ও আইনের কথা মুখে বলে, যারা সুশাসনের কথা বলে আজো দুঃশাসনের পথই বেছে নিয়েছে। সঠিক আইনত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘোষিত বিচারের রায়কে অমান্য করে, খুনিদের মদদ যোগায়। বিভিন্ন আইনের মারপ্যাচে প্রশ্রয় দেয় অন্যায়কে, অপরাধীকে। তারা ভুলে যায় সহস্রকাল পুরানো সেই বাক্যবুলিকে, ‘পাপ কারো বাপকেও ছাড়ে না।’ তবে, এই সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমাদের ভরসা একটাই, আজও আমাদের পথ দেখাবার জন্য আলোর সোনালী মশাল হাতে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুরই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধুমাত্র যে বাবা ও পরিবারের হত্যার বিচার করেছেন তিনি তা নয়, একই সঙ্গে বিচার করে চলেছেন সকল মানবতাবিরোধী অপরাধের। সত্যিকার অর্থে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার এই দৃঢ় পদক্ষেপ ও সাহস অবাক করেছে বিশ্ববাসীকে। কোনো অন্যায় আবদার বা ভয়ে পিছপা হননি শেখের বেটী। নিরলসভাবে, সাহসিকতার সঙ্গে সকল বাধাকে পরাস্থ করে এগিয়ে যাচ্ছেন নিজে, সঙ্গে পূরণ করছেন বাবার দেখা সোনার বাংলার স্বপ্ন। আজ বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার দেশ, একটি রোল মডেল। সফলতার সঙ্গে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শেষে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে। বেড়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, মানুষের মাথাপিছু আয়, কর্মসংস্থান, খাদ্য উৎপাদন, বৈদেশিক রপ্তানি, নেমে এসেছে মুদ্রাস্ফীতি, দারিদ্রতার হার, বৈদেশিক আমদানির উপর নির্ভরশীলতা। সঠিক দিকনির্দেশনা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও মৌলবাদী শক্তির উত্থানকে দমন করা সম্ভব হয়েছে অনেকাংশে। কমেছে বিনিয়োগভীতি, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্মোচিত হয়েছে নতুন দ্বার। সর্বত্র নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণ, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, নিম্নমুখী শিশু মৃত্যুর হার, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ও ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, প্রতিটি ঘরে উন্নয়নের আলো, মধ্যম আয়ের উন্নত বাংলাদেশ, শহরে শহরে মেট্রোরেলের গতি আজ আর ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে রূপকথার গল্প নয়। আজ সত্যি বাংলদেশ- ‘সারা বিশ্বের বিস্ময়’। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, নতুন প্রজন্মের আলো, নানার স্বপ্নের সঙ্গে একাত্মতায় দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে দিয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া। আজ এদেশের তরুণেরা আবারো স্বপ্ন দেখে সোনালী আগামীর। ফিরে আসে নিজ দেশে নতুন কিছু করবার স্বপ্ন নিয়ে। এ প্রজন্ম আজ আবার বিশ্বাস করে সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ দরকার। তাই নিজেদেরকে সোনার মানুষ হিসাবে তৈরী করে তারা মিশে যেতে চায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সঙ্গে। আজ প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে শুধু একজন বঙ্গবন্ধু না, ধ্বনিত হয় গৌরী প্রসন্ন মজুমদার সেই কালজয়ী কথায়, ‘… একটি মুজিবরের থেকে, লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি, আকাশে বাতাসে ওঠে রণি, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ।’ এতো সব কিছুর পরেও, সব কিছুর মাঝেও কেমন যেন একটি শুন্যতা আজও রয়ে গেছে। রয়ে গেছে হাহাকার। যার কারণে এত সব কিছু, সেই মানুষটাই আজ নেই। কেমন লাগে বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের? প্রতিবছর এই মাসটা কিভাবে পার করে আদরের হাসু আর ছোট্ট রেহানা। ভেবেছি কি আমরা একবারও কখনো? আর তাই বুঝি আমাদেরকে বার বার মনে করিয়ে দেবার জন্যই প্রতি বছর এই সময় প্রকৃতির এই রূপ। রবি ঠাকুরের কথায়, ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে’। লেখক: কলামিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। একুশে সংবাদ/জিহা/কে/২৯.০৮.২০১৭
Link copied!