AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অস্থিসন্ধিতে শব্দ হলে কী করবেন?


Ekushey Sangbad

০১:১৪ এএম, জুন ২০, ২০১৭
অস্থিসন্ধিতে শব্দ হলে কী করবেন?

একুশে সংবাদ : অনেক সময় কোন কিছু তুলতে গিয়ে, দ্রুত নড়াচড়া করতে গিয়ে বা বসা থেকে উঠতে গেলে শরীরের হাঁড়ের কোন এক জায়গায় আচমকা কড়কড় শব্দ পাওয়া যায়! আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় যেন কোন হাড় মচকে গেছে বা ভেঙে গেছে, কিন্তু আসলে এটা কোন হাঁড় ভেঙে যাওয়ার বা মচকে যাওয়ার শব্দ নয়। প্রকৃতপক্ষে, অস্থিসন্ধি এরকম আওয়াজের জন্য দ্বায়ী এবং এটা খুব স্বাভাবিক ব্যপার। অস্থিসন্ধি হচ্ছে দুটি হাড়ের সংযোগস্থল যেখানে দুই বা ততোধিক হাড় একত্রে জোড়া লাগে। অস্থিসন্ধি দুই ধরনের হয়। দৃঢ় যেমন, মাথার খুলির অস্থিসন্ধি এবং সচল যেমন হাঁটু, কাঁধ ইত্যাদি অস্থিসন্ধি হতে পারে। নড়াচড়া করতে গিয়ে কড়মড় শব্দ শুনে ঘাবড়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই। এই ধরনের আওয়াজ বিভিন্ন কারণ হয়ে থাকে, এমনকি যখন কোন সফট ট্যিসু যেমন টেন্ডন বা লিগামেন্ট অন্য কোন ট্যিসু বা হাঁড়ের উপর ঘষা খায় তখনও হতে পারে। আমেরিকার পেন স্টেট হেলথস মিল্টন হারসে মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত অর্থোপেডিক স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. আমান ধাওয়ানের মতে ‘আমাদের অস্থিসন্ধি সচল, তাই অনেক কিছুই আছে যা এর উপর দিয়ে পিছলে যেতে পারে বা ঘষা খেতে পারে যখন অস্থিসন্ধিগুলো অবস্থান পরিবর্তন করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই কড়কড় শব্দ নাইট্রোজেন গ্যাসের উপস্থিতির জন্যও হতে পারে, যা ফ্লুইডে অবস্থান করে অস্থিসন্ধিকে পিচ্ছিল বা মসৃণ করে এবং কার্টিলেজের জন্য নিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করে।’ একই মেডিকেল সেন্টারের আরেকজন অর্থোপেডিক স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. রবার্ট গ্যালোর মতে ‘একজন ব্যক্তির তখনই এই ধরনের অস্থিসন্ধির শব্দের প্রতি উদ্বিগ্নতার প্রকাশ করা উচিৎ যখন সে কোন ব্যথা বা স্ফীতিভাব অনুভব করবেন।’ উভয় ডাক্তার এই বিষয়ে একমত, অস্থিসন্ধির কড়কড় শব্দের সাথে আর্থরাইটিসের কোন যোগসংযোগ নেই এবং অস্থিসন্ধি কড়কড় করে উঠলেই আর্থরাইটিক হয় না। ড. ধাওয়ান বলেন, ‘অস্থিসন্ধির কড়মড় আওয়াজ কোন স্বাস্থ্যঝুঁকির বা অসুস্থতার লক্ষণ নয়। এই শব্দ শুনতে বিরক্তিকর শোনালেও এর কোন পাকাপোক্ত প্রমাণ নেই যে, এর জন্য ব্যক্তি কখনও কোন ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।’ কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন, কন্ড্রাইটিন এবং গ্লুকোস্যামাইন সাপ্লিমেন্ট বা ইঞ্জেকশন অস্থিসন্ধি মসৃন বা পিচ্ছিল করতে সহায়তা করে, কিন্তু এই বিষয়েও কোন উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে এগুলো আসলেই কার্যকর। অস্থিসন্ধির সচল এবং কর্মক্ষম রাখতে নিয়মিত এমন কিছু শরীরচর্চা যেমন সুইমিং, সাইকেলিং ইত্যাদি করা উচিৎ যা অস্থিসন্ধির প্রসারণে সহায়তা করে এবং মজবুত রাখে। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান থেকে বিরত থাকারও উপদেশ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকগণ। ড. ধাওয়ান জোর দিয়ে বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ অস্থিসন্ধির সুস্থতা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ অস্থিসন্ধি আমাদের শরীরের ওজন বহন করে এবং এর উপর যত কম চাপ প্রয়োগ করা হবে তত বেশি এটি মজবুত ও কর্মক্ষম থাকবে। এছাড়া এতে জয়েন্টের ব্যথাও কম হবে এবং আর্থরাইটিস হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে। একুশে সংবাদ // পপি // বিবা // ২০.০৬.১৭
Link copied!