সাইদুরসহ তিনজনের সাড়ে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত
একুশে সংবাদ : নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা মাওলানা সাইদুর রহমানসহ তিনজনের সাড়ে ৭ বছরে করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- আবদুল্লাহেল কাফী ও আয়েশা আক্তার।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৮ ধারায় দোষী সাবস্ত করে প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ৯ ধারায় দোষী সাবস্ত করে ৭ বছর করে কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ-৬ এর বিচারক ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, মামলাটিতে ২০১০ সালের ৭ আগস্ট ডিবির ইন্সপেক্টর সোহরাব হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর মামলাটির বিচার শুরুর জন্য ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে ২০১১ সালের ২ জানুয়ানি পাঠানো হয়। ওই আদালত মামলাটিতে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও গ্রহণ করেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী মামলাটিতে সরকারের অনুমোদন না থাকায় পরে ওই আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠান। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সরকারের অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠান।
২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট মামলাটিতে সরকার অনুমোদন দেয়। গত ৪ জানুয়ারি আদালত নতুন করে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাইদুর রহমানসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৫ মে রাজধানীর দনিয়ার একটি বাড়ি থেকে আসামিদের ২৪ ধরনের জিহাহি বইসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানের মৃত্যুদণ্ড হওয়ার পর ২০০৬ সালের শেষের দিকে সাইদুর রহমান দলটির প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করে পুনর্গঠিত করেন। তিনি দেশের অভ্যন্তরে সস্ত্রাসী কার্যকলাপ সংগঠিত করার জন্য সুরা সদস্য নিয়োগ করে তাদের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব দিতেন। তিনি নিজে বিভিন্ন জেলায় সফর করে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করতেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
একুশে সংবাদ // পপি // রাজি // ২৫.০৫.১৭ 6:40
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :