AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

প্রধান বিচারপতিকে ‘ঝুলন্ত সংসদ’ ইস্যু ভাবিয়ে তুলছে


Ekushey Sangbad

০৪:১৭ পিএম, মে ২৫, ২০১৭
প্রধান বিচারপতিকে ‘ঝুলন্ত সংসদ’ ইস্যু ভাবিয়ে তুলছে

একুশে সংবাদ : ষোড়শ সংশোধনী অনুসারে কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে এবং তাঁকে অপসারণের জন্য সংসদে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে তখন কী হবে বলে প্রশ্ন রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এই শূন্যতা তাঁকে ভাবিয়ে তুলছে বলেও বলেছেন তিনি। তার বিবেচনায়, এখন সংসদটি ঝুলন্ত নয়। কিন্তু আগামী দিনে যদি কোনো ঝুলন্ত সংসদ তৈরি হয়ে যায়, তার সমাধান এখনই ভেবে রাখা উচিত। বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। আজকের শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ তাঁর লিখিত বক্তব্য দেন। শুনানির একপর্যায়ে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকার প্রসঙ্গ ওঠে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে আজ সপ্তম দিনের মতো শুনানি হচ্ছে। শুনানিকালে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, শাসনতন্ত্রের সবচেয়ে পবিত্র আইন তাঁরা সংরক্ষণ করেন। এখানে এমন কিছু সন্নিবেশিত করা হলো, যাতে শূন্যতা সৃষ্টির সুযোগ আছে! কারও (বিচারক) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (সংসদে) না থাকলে তখন কী হবে (বিচার বিভাগের)! এটি ভাবিয়ে তুলেছে। অ্যামিকাস কিউরি রোকন উদ্দিন মাহমুদও তাঁর লিখিত বক্তব্যে এই ধরনের শূন্যতার প্রসঙ্গ তোলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, সংসদে কোনো রাজনৈতিক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতে পারে। আবার এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও থাকতে পারে। ঝুলন্ত পার্লামেন্টও হতে পারে। তখন কী হবে! রোকন উদ্দিন মাহমুদের পর অপর অ্যামিকাস কিউরি টি এইচ খানের পক্ষে তাঁর ছেলে আফজাল এইচ খান লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন। বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ৫ মে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর ৮ মে শুনানি শুরু হয়। একুশে সংবাদ // পপি // বিবা // ২৫.০৫.১৭     4:15
Link copied!