দাঁতই বলে দেবে আপনার অর্থভাগ্য কেমন!
একুশে সংবাদ : গ্রহলক্ষণ বা জন্মপত্রিকায় যাওয়ার আগে সামুদ্রিক বিচার সম্পন্ন করতেন জোতিষীরা। দেহলক্ষণ থেকে ভবিতব্য নির্ণয়ের এই শাস্ত্র আবার কতগুলি উপশাখায় বিভক্ত। হস্ত, কপাল বা সমগ্র অবয়বের বিচার যেমন এই শাস্ত্রের বিভিন্ন দিক করে থাকে, তেমনই মুখমণ্ডলের বিষয়েও আলাদা করে গুরুত্ব দেয় এই শাস্ত্রের একটি বিশেষ শাখা। ‘মুখ-সামুদ্রিক’ নামে পরিচিত ওই শাস্ত্র মুখমণ্ডলের বিবিধ দিক নিয়ে আলোচনা করে। মুখমণ্ডলের প্রসঙ্গে অবধারিত ভাবে আসে দাঁতের কথাও।
মহাকবি কালিদাস ‘দন্তরুচি কৌমুদী’ বলে খালাস। কিন্তু সকলের দাঁত তো আর কুমুদ বা পদ্মের মতো হয় না। দন্তবৈচিত্র্য অনুযায়ী ভাগ্যও যে বদলায়, তার একটা হিসেব হাজির করে ‘মুখ-সামুদ্রিক’। এক্ষেত্রে উপস্থাপন করা হলো দাঁতের গড়ন অনুযায়ী অর্থভাগ্যের খতিয়ান।
> যাদের দাঁত সমান মাপের, দাঁতের মাঝে কোনও ফাঁক নেই এবং দন্তসারি সুসংবদ্ধ, তাদের অর্থভাগ্য অসামান্য। জীবনে কখনই অর্থকষ্টে এদের পড়তে হবে না।
> গজদাঁত রয়েছে যাদের, তাদের অর্থভাগ্যে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। মাঝে মাঝেই এদের উপার্জনে বাধা আসে। জীবনে সাফল্যও দেরিতে আসে।
> যাদের দাঁতের রং ঈষৎ হলদেটে, কিন্তু সাদা ভাবই বেশি, তাদের অর্থভাগ্য দারুণ। কিন্তু ঝকঝকে সাদা দাঁতের অধিকারীদের অর্থভাগ্য একেবারেই ভালো নয়।
> যাদের দাঁত খুব পাতলা, তাদের অর্থোপার্জন সর্বদা সৎপথে হবে না বলে জানায় ‘মুখ-সামুদ্রিক’।
> যাদের দাঁতের সংখ্যা ৩১-৩২, তারা তুমুল অর্থভাগ্যের অধিকারী। তাদের খ্যাতিও জোটে তাড়াতাড়ি।
> যাদের দাঁতের সংখ্যা ২৮-৩০, তাদের অর্থভাগ্যে টানাপোড়েন এলেও তারা সহজে সামলে নেন।
> ২৫-২৮ যাদের দন্তসংখ্যা, তারা অর্থোপার্জন করলেও তা স্বাস্থ্যখাতে খরচ হয়ে বেরিয়ে যায়।
> যাদের দাঁতের সংখ্যা ২৫-এর কম, তাদের আর্থিক সাফল্য বিলম্বিত।
একুশে সংবাদ // পপি // বিবা // ০২.০৪.১৭
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :