AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাতই মার্চের অমর কবিতা


Ekushey Sangbad

১২:৪৮ পিএম, মার্চ ৭, ২০১৭
সাতই মার্চের অমর কবিতা

একুশে সংবাদ :  একটি ভাষণ একটি জাতির মানসে কতো গভীর ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলিতে পারে— একাত্তরের সাতই মার্চের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে যাহাদের যিকঞ্চিত্ ধারণা আছে, একমাত্র তাহাদের পক্ষেই তাহা সঠিকভাবে অনুধাবন করা সম্ভব। বাংলার ইতিহাসের অনন্য সেই সময়টিতে নেতার মহামূল্যবান ভাষণ শুনিবার জন্য যাহারা তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে সমবেত হইয়াছিলেন এবং দেশের আনাচে-কানাচে যাহারা রেডিওর সামনে কান পাতিয়া বসিয়াছিলেন, সকলেই শুধু যে মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেই ভাষণ শুনিয়াছেন তাহাই নহে, কী এক অনির্বচনীয় আবেগে-উদ্দীপনায় আন্দোলিতও হইয়াছেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। কী প্রবল তাহার গর্জন! কী বিপুল তাহার শক্তিমত্তা! বাংলার নিরীহ নির্বিরোধ মানুষকে আশ্চর্য এক ঐক্যসূত্রে গ্রথিত করিয়া ফেলিয়াছিল সেই ভাষণ। ইহা সুবিদিত যে মুক্তিযুদ্ধের ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ চরম অনিশ্চিত সেই দিনগুলিতে জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই বজ্রকণ্ঠই আমাদের সাহস ও প্রেরণা জোগাইয়াছে। এমনকি পঁচাত্তরের কালরাত্রি-পরবর্তী বিভীষিকাময় অন্ধকারেও এই ভাষণই বাতিঘরের মতো পথ দেখাইয়াছে— উদ্দীপিত করিয়াছে দিশাহারা বিপন্ন জাতিকে। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি ইতোমধ্যে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলির মধ্যে স্থান করিয়া লইয়াছে। দেশে-বিদেশে ভাষণটি লইয়া বিস্তর বিচার-বিশ্লেষণ হইয়াছে। ভবিষ্যতে আরও হইবে। সন্দেহ নাই যে হাজার বত্সরের পরাধীনতার জোয়াল ছুড়িয়া ফেলিয়া স্বাধীনতার সোনালি সোপানে উত্তরণের পথে এই ভাষণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। এইখানে শিক্ষণীয় বহু কিছু রহিয়াছে যাহা রাজনীতি যাহারা করেন তাহাদের জন্য তো বটেই, এমনকি জাতিরও চিরকালের সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হইতে পারে। বস্তুত সংগঠন ও নেতৃত্বের ক্যারিশমা তথা জাদুকরী ক্ষমতার সফল মিথস্ক্রিয়ার একটি অভূতপূর্ব প্রদর্শনী ছিল সাতই মার্চ। মনে রাখিতে হইবে যে, ভাষণটি শুরু হইবার আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হইয়াছিল রেসকোর্স ময়দান। শুধু যে যাহার যাহা কিছু ছিল তাহা লইয়া দূরদূরান্ত হইতে ছুটিয়া আসিয়াছিল সর্বস্তরের মানুষ তাহাই নহে, সারা দেশের মানুষও অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ ছিল এই ভাষণটি শোনার জন্য। ইহার অর্থ হইল, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার দুরূহ কাজটি আগেই সাধিত হইয়া গিয়াছিল বঙ্গবন্ধুর জাদুকরী নেতৃত্বে। আর জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা গেলে যে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়— তাহাও আমরা প্রত্যক্ষ করিয়াছি মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত সেই দিনগুলিতে। সাতই মার্চের ভাষণ জনগণের সেই ঐক্যে নূতন মাত্রা যোগ করিয়াছিল। জনতার হূদয়ের কথা মূর্ত হইয়া উঠিয়াছিল বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে। আর কে না জানেন যে মানুষ কী চায়— সেইটাকে যিনি যত সফলভাবে ভাষা দিতে পারেন তিনি তত বড়ো নেতা। স্বাধীনতার আগেই বঙ্গবন্ধু ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ বা ‘রাজনীতির কবি’ অভিধা পাইয়াছিলেন। এই নিরিখে সাতই মার্চের ভাষণকে বিবেচনা করা যায় তাঁহার রচিত একটি অমর কবিতা হিসাবে— যাহা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেমন প্রেরণা জোগাইয়াছে, তেমনি ভবিষ্যতেও প্রেরণার অবিনাশী উত্স হইয়া থাকিবে। একুশে সংবাদ // পপি // ইফা // ০৭.০৩.১৭
Link copied!