AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উন্নয়ন পোশাকশিল্পের


Ekushey Sangbad

০১:০৮ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
উন্নয়ন পোশাকশিল্পের

একুশে সংবাদ  : বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিশ্ববাজারে একটি ভালো অবস্থান তৈরি করেছে। বছরে ৩৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষিত হয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখ শ্রমিক এই শিল্পে কাজ করছে, যার ৮০ শতাংশই নারী। পরোক্ষভাবে আরো বেশিসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান করছে এই শিল্প। নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে কয়েক কোটি মানুষ। সংগত কারণেই পোশাকশিল্প দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তিও হয়ে উঠেছে। এই শিল্পের সুরক্ষা এবং এর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। শনিবার দ্বিতীয় ঢাকা অ্যাপারেল সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আশ্বাসই দিয়েছেন উদ্যোক্তাদের। তিনি বলেছেন, পোশাকশিল্পের উন্নয়নে সরকার স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিল্পমালিকদেরও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। পণ্যের বহুমুখীকরণ, মান উন্নয়ন ও নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। সরকার সর্বতোভাবে তাঁদের সহযোগিতা করবে। আমরাও মনে করি, মালিক, শ্রমিক ও সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টায়ই বাংলাদেশের পোশাকশিল্প দ্রুত এগিয়ে যাবে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প একটি বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশে তৈরি পোশাক বর্জনের পক্ষে প্রচার চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি বন্ধ হয়ে গেছে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে দেশের পোশাকশিল্প আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সংগঠন, সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনগুলো পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছে। আশা করা যায়, শিগগিরই বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিদেশি ক্রেতাদের মন থেকে সব সংশয় দূর করে আন্তর্জাতিক বাজারে আরো বেশি সুনাম সৃষ্টিতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের সাফল্য এই খাতের অনেক প্রতিযোগীর মনে ঈর্ষারও জন্ম দিয়েছে। অতীতে এমন অভিযোগও উঠেছে, কিছু দেশ বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। আবার কোনো কোনো দেশ নিজস্ব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তাদের আমদানি বাণিজ্যকে হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করতে চায়। কোনো কোনো দেশের কিছু সুযোগ বা ছাড় দেওয়ার এই কৌশলগুলো সম্পর্কেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এমন কোনো কৌশলের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না, যা দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই কোনো দেশ বা জোটের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার বদলে অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পণ্যের মান ও বৈচিত্র্য বাড়িয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা করি, পোশাকশিল্প খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস বাস্তবায়নে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবে। পাশাপাশি রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে এমন প্রতিটি খাতকেই একইভাবে এগিয়ে নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ শিল্প বিকাশে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একুশে সংবাদ // পপি // কাক // ২৭.০২.১৭
Link copied!