AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তোমার হলো শুরু আমার হলো সারা


Ekushey Sangbad

১১:২৯ এএম, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
তোমার হলো শুরু আমার হলো সারা

একুশে সংবাদ : বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন একটি ব্যাচের যাত্রা শুরু হয়েছে। তেমনি শিক্ষাজীবন শেষ করে বিদায় নিচ্ছেন একদল শিক্ষার্থী। নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি নিয়ে আজ বিশেষ আয়োজন। প্রতি বছর পুরোনো শিক্ষার্থীদের জায়গা দখল করে নেয় একদল নতুন মুখ। ‘স্বপ্ন নিয়ে’র আয়োজনে মডেল হয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী বাতেন, মীম, মাসনুন, সামিহা, মৌনতা, ফাহিম, রাফিদ ও তোরসা। ছবি: খালেদ সরকারপ্রতি বছর পুরোনো শিক্ষার্থীদের জায়গা দখল করে নেয় একদল নতুন মুখ। ‘স্বপ্ন নিয়ে’র আয়োজনে মডেল হয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী বাতেন, মীম, মাসনুন, সামিহা, মৌনতা, ফাহিম, রাফিদ ও তোরসা। ছবি: খালেদ সরকার তানজিলা ইফাৎ তাসকিনতানজিলা ইফাৎ তাসকিন আমরা সবাই মিলে একটা পরিবার তানজিলা ইফাৎ তাসকিন মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানে আমার কাছে বিশাল আবেগের জায়গা। ২০১১ সালে যখন ভর্তি হই, একবারের জন্যও বুঝতে পারিনি পড়ালেখা শেষ করে যাওয়ার সময় ক্যাম্পাসকে এভাবে অনুভব করব। প্রথম বছর শুধু ক্যাম্পাস ঘুরে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে কাটিয়েছি। কলাভবনে ক্লাস করে টিএসসি, কার্জন হল, চারুকলা...কোথায় যাইনি ঘুরতে! মনে পড়ে যখন ঝুমবৃষ্টি নামত, বন্ধুরা মিলে চলে যেতাম ফুলার রোডে বৃষ্টিতে ভিজতে। সেখান থেকে এসে টিএসসিতে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকেল পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরেছি। সবচেয়ে বেশি মিস করব আমার ‘চৈতালি বাস’কে। যখন নবীন ছিলাম, এই চৈতালিতেই পরিচয় হয়েছিল কিছু বড় আপুর সঙ্গে, তারা এখনো সস্নেহে আগলে রেখেছেন। যেকোনো উৎসবে প্রথমেই মনে হয় ক্যাম্পাসের কথা। বসন্ত, বৈশাখ, সরস্বতী পূজা...সব সময়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রঙিন ছিল, আছে, থাকবে। আমার নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয় যে আমি চাইলেই যেকোনো দিন বইমেলায় ঘুরে আসতে পারি। ছোটবেলায় যখন এই সুযোগটা ছিল না, কতই না আফসোস হয়েছে! ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। ফটোগ্রাফি সোসাইটি, ট্যুরিজম সোসাইটি, চলচ্চিত্র সংসদ, আইটি সোসাইটি—এদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। তোমাদের যাদের এসব বিষয়ে আগ্রহ আছে, শুরু থেকেই ক্লাবগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে পারো। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সহায়তায় টিএসসিতে ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দান দপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমি দেখেছি আমাদেরই কোনো বন্ধুর বিপদে বা অসুস্থতায় বাকি সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছে সাহায্য করতে। আমরা সবাই একটা বিশাল পরিবারের অংশ। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় আমার কাছে মনে হয়, পড়ালেখাকে আমি কীভাবে দেখছি তার ওপর নির্ভর করে পড়ালেখা কেমন হবে। যখন ভেবেছি আমি নিজ সিদ্ধান্তে নিজে পছন্দ করে পড়ছি, তখন ভালো লাগা থেকে পড়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন অন্য যেকোনো জায়গা থেকে ভিন্ন। ভীষণ আনন্দের, উৎসবের, শেখার, জানার, অনুভব করার। মাঝেমধ্যেই মনে হয়, ছয়টা বছর খুব তাড়াতাড়ি চলে গেছে। জীবনের সেরা সময়টা হয়তো অতিক্রম করে ফেলেছি। আমার পথচলা শুরু হয়েছিল মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমার ভিত তৈরি হয়েছে এখানেই। এখন স্নাতকোত্তর শেষ পর্যায়ে আছি ‘এডুকেশনাল ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি’ বিভাগে। এখানে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমার শিক্ষক আর বন্ধুরা। কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা সবার প্রতি। আমাদের অগ্রজদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি যে দায়িত্ব পেয়েছিলাম, সেটি এখন তোমাদেরকেই দিয়ে যাচ্ছি। যারা নবীন হিসেবে আসছ, তোমাদের জন্য অসংখ্য শুভকামনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সব মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষায় আছে তোমার জন্য। শুভদীপ পালশুভদীপ পাল হারিয়ে যাও প্রকৃতির রাজ্যে শুভদীপ পাল আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দার্শনিকেরা বলেন, প্রকৃতির শিক্ষাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীরা যখন চোখভরা কৌতূহল নিয়ে প্রশ্ন করে, ‘কী পড়ব? কী করব?’ আমরা তখন বলি, নিয়মিত ক্লাস করো, লেকচার টুকে নাও, আর ক্লাস শেষে হারিয়ে যাও প্রকৃতির রাজ্যে। ছয় ঋতুর প্রতিটির যে আলাদা রং আছে, রূপ আছে, টের পাওয়া যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে। নবীন শিক্ষার্থীরা, কদিন আগে কুয়াশাভেজা ক্যাম্পাস তোমাদের স্বাগত জানিয়েছে। এখন হঠাৎ হঠাৎ তোমাকে হয়তো চমকে দেবে কোকিলের কুহু ডাক। আবার কয়েক দিন পরই পয়লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার আনন্দে রঙিন হবে পুরো ক্যাম্পাস। প্রকৃতির এই প্রতিটি আয়োজনে শামিল হতে ভুলো না। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ঝুমবৃষ্টির দেখা পাবে এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সামনের বর্ষায় আমি হয়তো থাকব না, কিন্তু জানি উদ্দাম বর্ষায় ভিজবে তুমি। যেমনটা আমি ভিজেছিলাম। শাটল ট্রেনের বিশ্ববিদ্যালয় পুরো বাংলাদেশে এই একটাই। শরতে কাশফুলে ঢাকা পাহাড় ছুঁয়ে সাপের মতো শাটল এগিয়ে চলে।ট্রেনের ভেতর বগি বাজিয়ে চলে গান-বাজনা, আড্ডা, হইহুল্লোড়। কলকাতার যেমন কফি হাউস, আমাদের আছে ঝুপড়ি। আমরা বলি, ক্যাম্পাসের ঝুপড়ি কখনো ঘুমায় না। এখান থেকেই ডাক এসেছে কত প্রগতিশীল আন্দোলনের, উঠে এসেছে কত নিত্যনতুন আইডিয়া! আমাদের আইন বিভাগের একজন প্রফেসর বলেছিলেন, ‘তুমি জিতে গেলে জিতে যাবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। আর হারলে পরাজয় আমাদের সবার।’ যখনই কোনো দেশীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি, আমরা এই কথাটা মনে রাখতাম। জীবনের সবটুকু রং দিয়ে সাজিয়ে নাও এই বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন। রঙের খেলা খেলতে খেলতেই যার শুরু, পাঁচ বছর পর ‘র‍্যাগ ডে’-তে সেই রঙের খেলা খেলতে খেলতেই সাঙ্গ হবে এই স্বপ্নীল সময়। তখন পেছনে ফিরে তাকিয়ে যেন আক্ষেপ করতে না হয়। তোমার বুকজুড়ে যেন থাকে তরতাজা আত্মবিশ্বাস। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত প্রিয় নবীন। ভালোবেসো, ভালো থেকো, ভালো রেখো। নাদিরা মুসতারীনাদিরা মুসতারী প্রকৌশলী হতে হলে কৌশলী হতে হয় নাদিরা মুসতারী কেমিকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তোমরা যখন এই চিঠিটা পড়ছ, আমার ছাত্রী পরিচয়ের আগে তখন ‘সাবেক’ শব্দটা জায়গা করে নিচ্ছে। শুরু থেকেই জানতাম এই দিনটা আসবে, যেদিন আমাকে আমার প্রিয় ক্যাম্পাসকে বিদায় জানাতে হবে। তারপরও সব সময় ব্যাপারটা ভুলে থাকতে চেয়েছি। আপন কাউকে বিদায় জানাতে সবারই হয়তো এমন লাগে। আমি এখনো মনে করতে পারি স্পষ্ট, প্রথম যেদিন আমি বুয়েটে পা রাখি সেদিনের কথা। কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে এসে খুঁজে পাচ্ছিলাম না, কোন ভবনে আমার সিট পড়েছে। এদিক-সেদিক হেঁটে এসে বুঝতে পারলাম, আমি আসলে আবার আগের জায়গাতেই ফেরত এসেছি। গোলকধাঁধা মনে হয়েছিল বটে, কিন্তু সেদিনই সম্ভবত এটাও ঠিক করে ফেলেছিলাম, এই গোলকধাঁধাকে আমার জয় করতে হবে। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর যখন এই ক্যাম্পাসের ধুলোবালি আমাকে স্বাগত জানাল, সেদিন কি একটু গর্ব হচ্ছিল? হয়তো! তখন চোখে রঙিন চশমা। যা-ই দেখি, অবাক হই। যা-ই করি, নিজের অভিজ্ঞতার থলেটাকে আরেকটু ভারী মনে হয়।অদ্ভুত লাগে যখন দেখি, দেশ-বিদেশের নানা রকম প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া ছেলেমেয়েরা আমারই সঙ্গে ক্লাস করছে, আমারই সঙ্গে পলাশীর মোড়ে মনির মামার বানানো স্পেশাল মাল্টা চা খাচ্ছে! কখনো ভারী গ্লাসের চশমাটা নাকের ওপর আরেকটু ঠেলে দিয়ে জ্ঞানের কথা বলছে, আবার পরমুহূর্তেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কার গান থাকবে, কে নাচবে—এসব নিয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনা শুরু করে দিচ্ছে। এটা আমি তোমাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি, বুয়েটে কখনো অনুষ্ঠান-আয়োজনের অভাব হয়নি। তোমরা এটা ধরে রাখলে সামনেও হবে না। চার বছরের শিক্ষাজীবন তোমাকে বাকি জীবনে মনে রাখার মতো অজস্র মুহূর্ত দেবে, শুধু সঠিক সময়ে সেগুলোকে জালে আটকাতে পারলেই হলো। মজার ব্যাপার হলো, এই যে ছেলেমেয়েগুলো এত কিছু করছে, অনেকে ভাবতে পারে এরা পড়ালেখা করে কখন! প্রথমে আমারও অবাক লাগত। এরপর বুঝে গেলাম, প্রকৌশলী হতে হলে আগে কৌশলী হতে হয়। তুমি ঘুরে বেড়াতে চাও, ঘোরো। দুনিয়াটাকে নিজের মুঠোয় বন্দী করো। কিন্তু কৌশলটা হলো, তুমি ক্লাসগুলো করো। সকাল আটটায় উঠতে জানি তোমার কষ্ট হবে, কিন্তু এর ফলাফল যখন পাবে, তখন কষ্টটা সার্থক মনে হবে। দিনের পড়াটা দিনেই শেষ করে রেখো। সাহায্য নিতে পারো ক্লাসের অন্য কারও। একদম শেষ বেঞ্চে বসা ছেলেটাও কিন্তু তোমাকে দারুণ কিছু শেখাবে, যা হয়তো তুমি জানতে না। স্রেফ পড়ার জন্য না পড়ে জানার জন্য পড়ো। তোমাদের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। বর্ণিল হোক তোমাদের বুয়েট-যাত্রা। শাওন কৈরীশাওন কৈরী আহারে আমার সোনালি দিনগুলো! শাওন কৈরী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নামের এই স্বপ্নভূমিতে পা রেখেছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলাম, কেটে গেছে অনেকগুলো দিন, এবার বিদায়। বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সোনালি দিনগুলো শেষ হয়ে আসছে। এবার শুরু হবে অন্য একটা জীবন, যে জীবনে নিশ্চিন্ত ঘোরাঘুরি নেই, আড্ডাবাজি-গল্প নেই, যেমন খুশি তেমন চলা নেই। ‘টিচ ফর বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা শুরু করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি। বাচ্চাদের সঙ্গেই কাটে দিনের বেশির ভাগ সময়। কিন্তু ক্যাম্পাস ছেড়ে আসার একটা ‘ট্রমা’ কাজ করে এখনো। এই ‘ট্রমা’ থেকে এখনো বের হতে পারিনি। কবে যে পারব, নাকি কখনো পারবই না, কে জানে! আগে সকালে কোনোমতে ঘুম থেকে উঠে ক্লাসের জন্য ছুটতাম। মনে পড়ে না ক্লাসের দিনগুলোতে শেষ কবে নাশতাটা সময়মতো করতে পেরেছি। ক্লাস শেষে আবার এলোমেলো দিন...এখানে সেখানে। ক্যাম্পাসের অদূরে সবুজ, কখনো মিষ্টি বৃষ্টি, কখনো ধূসর কুয়াশা কিংবা মায়াময় রাত—মনটা আচ্ছন্ন করে রাখে। এখন আমার সকাল শুরু হয় সাতটায়। প্রায়ই এমন হয়, ঘুম থেকে উঠেই মাথার পেছনের জানালা দিয়ে হলের বিশাল মাঠটা দেখব বলে তাকাই। এখনকার জানালাবিহীন রুমটা আমাকে মনে করিয়ে দেয়, রূপকথার দিন শেষ। এখন ওঠো, ছোটো। পৃথিবীর কাউকে বোঝানো সম্ভব নয়, তখন কেমন লাগে বুকের ভেতরে। রাস্তায় যখন ক্যাম্পাসের বাস দেখি, মনে হয় আহারে আমার সোনালি দিনগুলো! প্রিয় নবাগত শিক্ষার্থীরা, এই রূপকথার ক্যাম্পাসে আমি যা শিখেছি, সেটা তোমাদের বলি। এখানে তোমাকে প্যান্ডোরার বাক্সে ভরে স্বাধীনতা দেওয়া হবে। বাক্সটা তুমি কীভাবে, কতটা ব্যবহার করবে, সেটা নির্ভর করবে তোমার ওপর। এই ক্যাম্পাসের মায়ায় ঘেরা গাছগুলো তোমাকে যেমন বুকভরে শ্বাস নিতে দেবে, ঠিক তেমনি মুড়িয়ে ফেলতে পারে হতাশার চাদরে। এই ৭০০ একর সুবিস্তৃত প্রাঙ্গণ তোমাকে দিতে পারে আকাশজয়ের সাহস, আবার কেড়ে নিতে পারে সব সম্ভাবনা। তুমি কোন পথে যাবে? এই সিদ্ধান্ত তোমার। ঠিক যখন যা দরকার, আর যা দরকার নয়, সবই পাবে এই ক্যাম্পাসে। তার কতটুকু কীভাবে তোমার জীবনে স্পর্শ করবে, সেটা তোমাকে সময়ই বলে দেবে। দুই হাত মেলে দিয়ে তোমাকে আদর বিলিয়ে যাবে জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাস—এই আদরের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে তোমাকেই। তোমার যাত্রা শুভ হোক। ভালো থাকুক ক্যাম্পাস আমার, ভালো থাকুক ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রাণ। একুশে সংবাদ // পপি // প্রআ // ২৬.০২.১৭
Link copied!